Thursday 10 December 2020

শ্রদ্ধাঞ্জলি::মসীহা~নাসের হোসেন

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা ||
         
সেলাম কবি।তোমাকে গভীর ভাবে শব্দের মধ্যে পাচ্ছি। ধ্বনির মধ্যে পাচ্ছি।
শ্রদ্ধা নিও। প্রণাম নিও কবি।

                                              মানুষ তো মানুষ,সে কী করে অবতার হবে,তবু
                                              তাই-ই তো হয়,জয় মানুষের জয় বলতে বলতে হঠাৎই 
                                              কখনো কোনো মানুষ হয়ে ওঠে মসীহা,পাগল,দিওয়ানা
                                                                                                  (মসীহা//দ্রাবিড় সোনাটা)


মসীহা~নাসের হোসেন

ঝালর

একটা কমলারঙের স্পেসকে খাড়া করে রাখা

হয়েছে,স্পেস থেকে কয়েকটা আঁকাবাঁকা নকশারেখা

উৎপন্ন হয়েছে এবং বেরিয়ে গিয়েছে সিলিং পর্যন্ত

ওপাশে একটা কালো দরোজা একটা কালো চৌকো

আয়তাকার চিহ্ণের মতো প্রোরোচিত করছে সেই

কৃষ্ণগহ্বরে প্রবেশ করবার জন্য, কয়েকটা জেড্- চিহ্ণ

স্পেস- এ উৎপন্ন হয়ে এগিয়ে এসেছে মার্বেলের মেঝেতে

যেন- বা চাদরের ঝালর,লুটিয়ে গেছে জলের নিগাঁহে


মানুষের কণ্ঠ

চিলমন দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা পথ

আজকে যে মহোৎসব, কিন্তু কোথাও ঢাকঢোল নেই

বিন্দুমাত্র আওয়াজ নেই কোনোখানে,কেবল

কখনো - কখনো মানুষের কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে

একজন বলছে,তুমি কি তোমার বাড়িতে যেতে চাও

আর একজন বলছে,

তোমাকে তোমার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।



                                                   মাটির নীচে কবিতালেখার জন্য কাগজ এবং কলম
                                                   পাঠাতে হবে , ওখানে বসে কবিতা লিখবে নাসের।একমাত্র নাসের-ই পারে 
                                                   যেকোনো জায়গায় কবিতা লিখতে।
                                                                             (FB থেকে -POST প্রভাত চৌধুরী)

প্রভাত চৌধুরী কী বলছেন কবিতায়_____

ব্ল্যাকহোল 

ব্ল্যাকহোল সম্পর্কিত যাবতীয় বিবরণ লিখে রেখেছে
নাসের হোসেন
তার কৃষ্ণগহ্বর গ্রন্থটিতে

আমি নতুন করে লিখতে শুরু করলে
আগে লিখব ব্ল্যাক
পরে হোল

আর কালোকুকুর এবং কালোগোলাপের প্রতি
আমার আকর্ষণের কথা সকলেই জানেন
হোল-কে ভাষান্তর করে যদি ফাটল-এ
পৌঁছে যাওয়া যায়
তাহলে আমি যুক্তিফাটলের সন্ধানে
রুদ্র কিংশুক-এর কাছে যাব

অর্থাৎ নাসের হোসেন থেকে রুদ্র কিংশুক
এটাই আমার ব্যক্তিগত ব্ল্যাকহোল


[ কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়-কৃতিপত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক

একজন মানুষ যিনি অফিস নিজের লেখালিখি কলকাতা শহর থেকে অনেক দূরের বাড়ি সামলে দীর্ঘদিন শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে স্নেহের টানেকৃতি’- প্রতিটি সংখ্যার প্রুফ সংশোধন, পেজ মেকআপ ইত্যাদি অতি জরুরি বিষয়গুলি দেখে দেন তিনি এই সময়ের ব্যস্ততম কবি নাসের হোসেনআমার পত্রিকার প্রকাশে তাকে একজন অভিভাবকের মতোই দেখি]


মাথা

এ যে এক অদ্ভুত মানুষ, মাথায় গণেশ পাইনের
আঁকা পাথরের মতো স্ফটিকাকার পাগড়ি,কণ্ঠ থেকে
পায়ের নীচ পর্যন্ত রঙিন ছোপ- দেওয়া ঢোলা
পোশাক,দু- হাত দু- দিকে মেলে যেন- বা দুলে-দুলে
নাচছে,বাতাসের হিল্লোল তার সমগ্র পোশাকে
খেলা করছে, তার পশ্চাদপট ধূসর এবং অনন্তজ্ঞাপক, 
পায়ের সাদারঙের আঢাকা জুতো এক্ষুনি কোথাও  
চলে যাবার কথা বলছে,কিন্তু নাচ থামতে পারছে না। 

মুখ

অন্ধকার সমাগম হলে আলোর পথ খুলে যায়
এরকম একটা ধারণা জগতে প্রচলিত আছে,কিন্তু
সময়- সময় এমন একটা সময় আসে যখন
অন্ধকারের সর্বত্রই অন্ধকার, কোথাও কোনো আলো

দেখা যায় না,আলোর পথ তো দূরের কথা,
এতটাই দূরের যে তারাও দেখা যায় না,সাধুভাষায়
যাকে বলা হয় নক্ষত্র, নক্ষত্ররাতো বরাবরই দূরের
কেবল একটাই নক্ষত্র আমাদের কাছে রয়েছে,যার

টানে আমাদের পৃথিবীটা পরিক্রমা করে চলেছে অবিরত
যার শস্য-কিরণ আশীর্বাদে আজো পৃথিবী প্রাণময়ী
মাঝেমাঝে এমনও সময় আসে যখন অন্ধকার  
হয়ে যায় অন্তহীন, ঝড় থামে না,বৃষ্টি  থামে না

আসলে কিন্তু অন্তহীন নয়, সব ঘটনারই পরিসমাপ্তি 
রয়েছে,তারপরেই শুরু হয় নতুন ঘটনা,নতুন যুগ 
তোমার ফিনফিনে ওড়নার উপরে অনেকগুলি নক্ষত্র উজ্জ্বল
হয়ে ওঠে,আর ঠিক পিছনেই অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মুখ