Tuesday 24 August 2021

|| হাইকু সংখ্যা||~প্রচ্ছদ ও সম্পূর্ণ সূচি

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||

সকলকে ভালোবেসে।সকলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে।
আমাদের এই প্রয়াসে যাঁরা সামিল হলেন,সকলকে শুভেচ্ছা। 


সম্পূর্ণ সূচিঃঃ

সম্পাদকীয় নয় কিন্তু ____

হাইকু নিয়ে অনিন্দ্য রায় কী বলছেন| মাৎসুও বাসো,ইয়োসা বুসান,কোবায়াসি ইসা,মাসাওকা সিকি হাইকু ভাষান্তর~অনিন্দ্য রায়
আলোক মণ্ডল | পিনাকীরঞ্জন সামন্ত| অনিন্দ্য রায় |তাপস কুমার চট্টরাজ| নীলিমা সাহা| মো. মুহাইমীন আরিফ | মিতা ঘোষ | রিতা মিত্র | সুবীর ঘোষ |স্বপন নাগ| মাসুদুল হক | চন্দ্রদীপা সেনশর্মা |দেবলীনা চক্রবর্তী | পৃথা চট্টোপাধ্যায় | প্রকাশ ঘোষাল | সুধাংশুরঞ্জন সাহা| গোবিন্দ ব্যানার্জি| নার্গিস পারভিন | তুলসীদাস ভট্টাচার্য | নিবিড় সাহা | স্বপন শর্মা | অর্ঘ্য দে | সুতনু হালদার | সুপ্তোত্থিতা সাথী | সুকন্যা ভট্টাচার্য্য | অসীম মালিক |


|| হাইকু সংখ্যা||~সম্পাদকীয় নয় কিন্তু___

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||  

সম্পাদকীয় নয় কিন্তু___

অভিজিৎ দাসকর্মকার 

হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম,মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা-র তরফ থেকে একটা হাইকু কবিতা নিয়ে সংখ্যা হোক।আপনারাও সাহায্য করলেন আপনাদের হাইকু কবিতার সম্ভার নিয়ে।

অনেকেই নিয়ম যেনে আবার অনেকেই ৫।৭।৫ এই মাত্রা জেনে কবিতা লিখেছেন পাঠিয়েছেন। আবার অনেক লেখা এসেছিল সেগুলো ৫।৭।৫ মাত্রার ছিল না। তার মানে ওগুলো হয়নি,হাইকু হয়তো হয়ে ওঠে নি,কিন্তু কবিতাতো হয়েছিলোই।যেহেতু হাইকু সংখ্যা তাই ওগুলো এই সংখ্যায় রাখতে পারি নি। 
যাঁরা লিখেছেন তাঁদের সকলেরই যে হাইকুর ব্যাকরণ মেনে লেখা এমনটাও নয়,তবুও মাত্রার জায়গা ঠিকঠাক। অনিয়ম করাও তো একপ্রকার নিয়মই। আম গাছে লক্ষ লক্ষ মুকুল আসে সবই কী আমের পরিনতি পায়? পায় না তো!  তবে সব আমগুলোও যেমন সত্য তেমন যেসব মুকুল আম হোলো বা যেসব মুকুল ঝরে গেলো উভয়ই সত্য।

আমরা কম বেশি সকলেই জানি হাইকুর সঠিক ব্যাকরণ নিয়ে বাংলায় হাইকু লেখা অতটাও সহজ কাজ নয়,তা হোক~ তা বলে চেষ্টা করবো না? নিশ্চয়ই করবো।

সকলে পড়ুন।মতামত দিন।
ভালে থাকুন।সুস্থ থাকুন।সামাজিক দূরত্বে থাকুন মানসিক দূরত্ব নয়।





|| হাইকু সংখ্যা||~হাইকু নিয়ে কিছু কথা

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||     

হাইকু নিয়ে কিছু কথা~ অনিন্দ্য রায়


ধ্রুপদী জাপানি কবিতা হাইকু।
তিনটি পর্বে রচিত এই কবিতা, পর্বগুলির মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৫, ৭ ও ৫ (মোট ১৭) ‘অন’। অন হল জাপানি
ধ্বনি-একক, Mora বা ‘কলা’র সমতুল্য।
জাপানে পরম্পরাগতভাবে একটি উল্লম্ব পঙ্‌ক্তিতে হাইকু লেখার রীতিই স্বীকৃত। ইংরেজি ও অন্য ভাষায় তিন
লাইনের হাইকু লেখার চল দেখা যায়, মাত্রাগণনায় কলা-র বদলে কেউ কেউ ব্যবহার করেন ৫-৭-৫ ‘দল’
(Syllable)।
কোনও দৃশ্য, যা আমাদের চেতনায় মূহূর্তে উদ্ভাসিত করে সত্যকে, প্রণোদিত করে হাইকুকে। হাইকু-মুহূর্তই
এই হ্রস্বকবিতার প্রাণ, স্বল্প উচারণে প্রকৃতির দুটি ছবির কাব্যিক প্রকাশে তা ফুটে ওঠে। ছবি দুটি জোড়া
থাকে ‘কিরেজি’ দিয়ে; কিরেজিকে বলা যায় ছেদশব্দ, তা ছবিদুটির ভেতর সমান্তরাল-ভাব বা জাক্সটাপজিশন
তৈরি করে। হাইকুর অপরিহার্য অংশ হল কিরেজি; আরেকটি ‘কিগো’। কিগো হল ঋতু-সম্পর্কিত শব্দ, যা নেওয়া
হয় ‘সাইজিকি’ বা কিগো-অভিধান থেকে। হাইকুতে একটি কিগো থাকবেই।
হাইকুতে সাধারণত থাকে না কোনও মানুষের কথা, মানবিক ক্রিয়াকর্মের বিষয়। পরম্পরাগত জাপানি হাইকুতে
থাকে না কোনও যতিচিহ্ন, অন্ত্যমিল, রূপক, চিত্রকল্প বা অন্য কোনও অলংকার। শুধু প্রকৃতির দুটি ছবি
আর তাদের অন্তর্গত অভিঘাতে জন্ম-নেওয়া বোধ— এই হল হাইকু।
হাইকু তাই ঋতুর কবিতা, প্রকৃতির কবিতা, মুহূর্তের কবিতা, সত্যের কবিতা। জেন ধর্মবিশ্বাস ও যাপনের
সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক এর। গুরুত্বপূর্ণ হাইকুকাররা এই ধর্মাবলম্বী।
জাপানি কবিতা ‘রেঙ্গা’র প্রারম্ভিক স্তবক ‘হোক্কু’র থেকে এর জন্ম। মাসাওকা সিকি (১৮৬৭-খ্রিস্টাব্দ
১৯০২ খ্রিস্টাব্দ) এই আঙ্গিকের হাইকু নামটি দেন। মাৎসুও বাসো (১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ– ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দ),
ইয়োসা বুসান (১৭১৬ খ্রিস্টাব্দ – ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দ), কোবায়াসি ইসা (১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দ -১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ)
ও সিকি–কে শ্রেষ্ঠ হাইকুকার হিসেবে গণ্য করা হয়। হাইকু লিখেছেন অজস্র কবি, লেখা হয়েছে অসংখ্য তিন-
পর্বের আলোকিত শব্দসুষমা।  


|| হাইকু সংখ্যা||~মাৎসুও বাসো-র হাইকু ভাষান্তর

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||       
মাৎসুও বাসো-র হাইকু












মাৎসুও বাসো
(১৬৪৪ – ১৬৯৪)

ভাঙা কুটির
মালিক বদলায়
পুতুল মেলা
...
এই যে পথ
একজনও তো নেই
শরৎ সাঁঝ
...
শীতে বাগান
চাঁদ তো ক্ষয়ে সুতো
গাইছে পোকা
...
অসুখ পথে
রিক্ত মাঠ জুড়ে
স্বপ্ন ঘোরে
...
                                                                         ভাষান্তর-কবি অনিন্দ্য রায়              

|| হাইকু সংখ্যা||~ইয়োসা বুসান-এর হাইকু ভাষান্তর

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||    
ইয়োসা বুসান-এর হাইকু 


ইয়োসা বুসান
( ১৭১৬ – ১৭৮৪)

খড়ের চটি
পুকুরে আধডোবা
স্নিগ্ধ হিমে
ছাতা আমার
এক চোখা দানব
চাঁদের আলো
উড়ে বেড়ায়
চশমা পরে যেন
এক ফড়িং
...

                                            ভাষান্তর-কবি অনিন্দ্য রায়  

|| হাইকু সংখ্যা||~কোবায়াসি ইসা-র হাইকু ভাষান্তর

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||   

কোবায়াসি ইসা-র হাইকু 

কোবায়াসি ইসা
(১৭৬৩ – ১৮২৮)

জন্মে স্নান
মৃত্যুতেও স্নান
কী অদ্ভুত

পোকারও সাথে
গাইতে পারে কেউ
কেউ পারে না
বাবার মুখে
শেষবারের মতো
মাছি তাড়াই
যা কিছু ছুঁই
যত আস্তে হোক
কাঁটা বিঁধবে
শিশিরলোক
হল শিশিরলোক
তবুও, আর
...

                                                                ভাষান্তর-কবি অনিন্দ্য রায়  

|| হাইকু সংখ্যা||~মাসাওকা সিকি-র হাইকু ভাষান্তর

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||        

মাসাওকা সিকি-র হাইকু 


মাসাওকা সিকি
(১৮৬৭ – ১৯০২)

বারংবার
তুষার উঁচু কত
প্রশ্ন করি
...
পচা পুকুর
উলটো ভেসে যায়
পোকার খোল
...
পাতলা বন
বোন আমার একা
শীত করছে
...
কুকুর ডাকে
পা ফেলার শব্দ
দীর্ঘ রাত

                                        ভাষান্তর-
কবি অনিন্দ্য রায়

|| হাইকু সংখ্যা||~আলোক মণ্ডল

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||   

৫-৭-৫ মাত্রায় হাইকু।তিন পঙক্তির।টানকা ৭ মাত্রায়,৭/৯ পঙক্তি।  আরও নানা নামে, নানা দেশে ক্ষুদ্র কবিতা। নানা মাত্রায়। হাইকুতে তেমন কোন ভাব গম্ভীরতা থাকে না।নিছক প্রাকৃতিক সংক্ষিপ্ত চিত্রপট।এটুকুই।
রবীন্দ্রনাথ চেষ্টা করেও অতৃপ্তির কারণেই বোধ হয় এই বিশেষ লেখা চালিয়ে যান নি।তাঁর একটি -

"পুরোনো ডোবা
দাদুরি লাফালো যে,
জলেতে ধ্বনি।"                                                        

এবার আমার কয়েকটি
১.

ভোরের সূর্য 
সোহাগ ছড়ালো গো
প্রিয়ার টিপে।

২.

সন্ধ্যা নামলে
পুকুরে নীরবতা
আত্মস্থ ধ্যানে।

৩.

ঝিরি বৃষ্টিতে 
মালতিবীথী ভেজে
নীরব কান্না।

৪.

আহা,প্রিয়ম 
হুড্রু প্রপাতে ঝরে
তীব্র মুগ্ধতা।

৫.

খেলনা হাতে
বাবার মৃত্যু শোক
ভোলে শৈশব।
                                   

|| হাইকু সংখ্যা||~পিনাকীরঞ্জন সামন্ত

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||         

(৫+৭+৫)    পিনাকীরঞ্জন সামন্ত

১)

এই মুহুর্তে
যদি বলি তোমাকে
এসো না প্লিজ

২)

তুমি বলবে
না না না এক্ষুনি না
অপেক্ষা কর

৩)

তুমি কী লেখ
প্রশ্ন করোনা কবি
পড়িয়া দ্যাখ

৪)

ঘুম আসছে
রাত্তির এগারোটা
ঘুমিয়ে পড় 

৫)

গোলাপ ফুল
দিলাম তোমাকেই
ভালো বাসিও

৬)

হাইকু কথা
পড়িলাম জানিতে
শিখতে হবে

৭)

পাঁচ পাঁচেতে
সাত সাত সাঁতার
ডুবিব জলে

৮)

যতই শিখি
শেখাটা হয়নাকো
তবু শিখতে

৯)

সন্ধ্যা হইলো
মেঘেরা ডাকিতেছে
বৃষ্টি অপেক্ষা ।

১০)

হাইকু শেষ
অভিজিৎ কে দেবো
প্রকাশ হবে




|| হাইকু সংখ্যা||~অনিন্দ্য রায়

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||    

অনিন্দ্য রায়                                        
কলাগাছের
সতেরোখানি পাতা
চারা অনেক
পিঁপড়ে যায়
আরও পিঁপড়ে যায়
আরও পিঁপড়ে
বাঁশবাগানে
বাতাসের গোঙানি
ঘুঘুর বাসা
সজনেডালে
শুঁয়পোকার ঝাঁক
ভোরেরআলো
বাবুইঘাস
ডুংরির গা বেয়ে
দুধেখরিশ
মাঠ পেরিয়ে
পাঁচটি ভেড়া যায়
আরেক মাঠে
পাতা ঝরছে
হঠাৎ উড়ে এল
তিন শালিক

আঢাকা জল
শামুক চোখ তোলে
আড়াল থেকে

শুখা পুকুর
ছটফট করছে
একা মাগুর
মরা কাছিম
উপুড় পড়ে আছে
আকাশে মেঘ
সারাটা দিন
ছাতারে খেটে মরে
সাতটি ভাই
জোড়ের জলে
ভাসছে পোড়াকাঠ
অনেক কাক
             


|| হাইকু সংখ্যা||~তাপস কুমার চট্টরাজ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||

তাপস কুমার চট্টরাজ             

১)   

সুখের দিন
তাড়াতাড়ি পালায়
দুখের ভয়ে ।

২)     

মনের মেঘ 
গলছে দুই চোখে
 ভিজবে বলে । 

৩)     

ঝুলছে প্রাণ
 আলগা আলনায়
 কখন ধুপ্ ।

৪)      

নির্ঘুম চোখ
না মেলা হিসাবের
জাবদা খোলে ।

৫)        

আয় না , তুই 
আয়না হয়ে আজ
 সামনে দাঁড়া ।



|| হাইকু সংখ্যা||~নীলিমা সাহা

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||    

নীলিমা সাহা

১) 

বেলার দিকে 
এগিয়ে যায় ভোর
ঘাম  ঝরিয়ে 

২) 

বিষাদ বর্ষা
ভুলের গায়ে  হেলে
নিরর্থ  দোলে

৩)

কনকচাঁপা
হাসে ভাদ্র-বাতাসে
 শারদঘরে

৪) 

কন্যাসন্তান 
কাঁপা কাঁপা ঢেউয়ে 
হা ইহজন্ম

৫)

ঘনবুনোটে
কলম আর মন
লেখে হাইকু

|| হাইকু সংখ্যা||~মো. মুহাইমীন আরিফ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||     

হাইকুগুচ্ছ  মো. মুহাইমীন আরিফ


শুরুর শেষ
শেষের শুরু দোলে
ঋতুর কোলে


তালের পাখা
হাতে বাতাসকল
শীতালু কোষ


রাতের বন
নৈঃশব্দ্যে ঝিঁঝি
গানওয়ালা


আলোর রেখা
বৃত্ত বিকীর্ণ
সরলরেখা


ঝাঁঝাল রোদ
চাষির দেহজমি
লবণ রোয়া


আষাঢ় মাস
মেঘপাত্র ফুটো
পিছল মেঝে


বাঁশের সাঁকো
জলে হাঁটার পথ
মাঝির দুখ

‌৮


জোছনাজ্বলা
আকাশে পতপত
চাঁদ পতাকা


জলের পাখি
উড়ুক্কু মাছের
জেলে পাহারা

১০


দোয়াতে মেঘ
জল-কালিতে রচা
শ্রাবণ মাস


|| হাইকু সংখ্যা||~মিতা ঘোষ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||

পঞ্চমঙ্গল মিতা ঘোষ


(১)


ভাঙা চশমা

উঁকি দিয়েছে আশা

নিভন্ত প্রাণ।


(২)


খর খবরে

মুঠি থেকে খসলো

সময়ের ঘড়ি।


(৩)


লহর ওঠে

মুক্তো কুড়োয় সই

স্মৃতিযাপনে।


(৪)


কৌতুকহীন

মন খুঁজতে থাকে

বিমর্ষ জল।


(৫)


নিক্কন শোনো

পায়ের জলছাপ

চোখে পড়েনা।


|| হাইকু সংখ্যা||~রিতা মিত্র

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||  

রিতা মিত্র


1) 

নীল আকাশ
সূর্য রশ্মি ছড়ায়
হঠাৎ মেঘ

2) 

রেসের মাঠ
বে লাগাম চাবুক
ছুটছে ঘোড়া

3) 

নির্ঝর বারি
শিক্ত আমার কায়া
দূরে আস্তানা

4) 

রঙিন ছবি
ঘরের শোভা যেন
ধুলো জমেছে

5) 

কৃষ্ণের বাঁশি
ব্যাকুল মনে রাধা
গোপিরা নাচে

|| হাইকু সংখ্যা||~সুবীর ঘোষ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||    

সুবীর ঘোষ


অস্ত গোধূলি
আমার কথা শুনে
মন ডিঙোয়


কাদের জমা
কার খরচে ভাঁটা
হাতের প্যাঁচ


মন মানে না
মনের ঘরে ফাঁদ
রঙ মিলন্তি


যে যায় যাক্
পথের বিধি পথে
কথা ফুরোক্


নীল বারান্দা
রোদের সুরে গৎ
তাৎক্ষণিক

|| হাইকু সংখ্যা||~স্বপন নাগ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||  

স্বপন নাগ

১.

আমার গানে
বিষাদ বাঁধে ঘর :
জানে, সে জানে।

২.

সেদিন হায়
আসুক আবারও,
কে-বা না চায় !

৩.

যদি বল 'না',
জানব ভেজা চোখ
মিছে ছলনা।

৪.

একাকী কবি
সূর্যরঙে আঁকেন
রাতের ছবি।


৫.

বরং ভালো,
অন্ধকারের এই
গোপন আলো।


|| হাইকু সংখ্যা||~মাসুদুল হক

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || হাইকু সংখ্যা||

মাসুদুল হক


১.

একটা চাঁদ
জল ও জোছনায়
মিশে গিটার 

২.

তুমি আমার 
যৌনতার মূরতি 
আমি পূজারী 

৩.

এই যে লিঙ্গ 
এটা লাঙ্গল, তুমি
 চাষের জমি 

৪.

তুমিই আলো 
 তার পরশে, আমি 
এক প্রদীপ 

৫.

তোমার ঠোঁট 
অগ্নি, সে উত্তাপে 
আমি গলছি