দূর সীমান্ত থেকে
একঝাঁক সারসের রক্তাক্ত আর্তনাদ থেকে
গলে পড়ছে সকালের সূর্য...
কেউ সাজি ভরে তুলে নিচ্ছে রক্ত পালক
কেউ পোশাক ঝেড়ে মুছে রাখছে ভাঁজে
গড়িয়ে পড়া ঝর্নার উষ্ণ কোল মুছে
সজারু কাঁটাডানা মেলে ধরছে মাটির গর্তে
যেন কত স্বাভাবিক দৃশ্য....
প্রস্তরের ভাঁজে
শ্রাবণের সৌরভ পাক খায় ধূমায়িত যজ্ঞদানীতে
দুপুরের হাঁ কাঠে দুই ঠোঁট তৃষ্ণায় কাতর
বাঁধানো বটের শিকড়ে রোদ ছায়া খেলা করে
ফড়িঙয়ের জাল বোনা হলুদ ডানায় শব্দ লিখি
একটা দুটো করে বিকালের বয়স বাড়ে
পাথরের ঘরে তালাবন্দি হতে থাকে যত কথা
কতটা উঁচুতে উঠলে আকাশ বদলিয়ে নেয় ঘর
সৌধের গায়ে ধুলোর পশমিনা, উঠে আসে ঠিকানা
ঘুম ঘুম রঙের কাচের দেওয়ালে ঠোকরাতে থাকে এক পাখি...
সম্পর্ক
নতুন জামার ভেতরে যতটাই না আনন্দ
ততটাই ভারী বৃষ্টি কাল
উড়ুক যতই রোদ্দুরে, বোতামের সংঘর্ষ
বুকের মোলায়েম নোনতা শিকার করে বসন্ত কাল
সম্পর্ক ঘষতে না পারলে লালচে কাঁসার মতো
সে রাতে চাঁদও তার রূপ খুইয়ে ফেলে
নদীর পাড়ের কাছে ভাঙার ধ্বনি
ঢেউ জানে পাখিদের সংসার কতটা নড়বড়ে শেকড়ে..
তুমি আমি আর নীল নৌকা..
বেলাশেষে তোমার কাছে বসতে এলাম
একখণ্ড মেঘ যেমন মিশে যেতে চায় সাগরের হাত ধরে
তোমাকে যেন কতকিছু বলার আছে -
ওদের বলি দাঁড়িয়ে যাও, ডানা বেয়ে নামিয়ে রাখো আকাশ -
আমি সেই নীল নৌকাটার দিকে তাকিয়ে আছি...
তোমাকে কিছু বলবো
যে কথা তোমারও অজানা নয়..
থর থর করে ওষ্ঠ কাঁপে, হিমাঙ্কের ওঠানামা বুকের শহরে
যে পাখি লুকিয়ে রেখেছে বুকের পশম, রোদে মেলে দিই শীত জানলা!
তাকিয়ে থাকি নীল নৌকাটা...
আমি তুমি আছি - মুখোমুখি কথা নেই!
দেওয়াল জুড়ে
সে মুহূর্ত থেকে গেছে কোথাও
তবুও সেই ট্রেন থামেনি কখনও
দূর থেকে আরো দূরে.....
শব্দহীন স্তব্ধতায় শুনি জলের কলরব
অজস্র ডানায় ছড়িয়ে পড়েছে মুক্তোরাশি
নীরবতা ভেঙে দুজনেই চুপ
তুমি শুনছিলে, আমি বলে যাচ্ছি....
কেউ কোথাও থামিনি -
ট্রেন ছুটেছে বহুদূরে....
No comments:
Post a Comment