একা ও গার্হপত্য
১.
আমি কোত্থাও নেই। দ্রবীভূত, অগ্রন্থিত জলঢোড়া।
কোনো কবিতা পাঠের মঞ্চে
অথবা সম্মাননা জ্ঞাপনের শিষে...
অথচ আমার পায়ের নীচে পড়ে আছে পথ
চারিপাশে শেকল তুলে আছে জল, মর্মর
আমি ক্রমশ শব্দহীন
গোভিড় থেকে গভীরতর দূরে; বিচ্ছিন্ন
২.
এই যে আমি কোত্থাও নেই ----
তবুও আকাশে বিস্ময় হয়ে আছে উঁচু পিঠ;
আমি তাঁর অলংকৃত ঘুম, নির্ধূম আলো
অহংকারের ভেতর গাঢ় খুব তলপেট চেপে আছি।
তাঁর বিষন্ন চিৎকার আমাকে ভাবিয়েছে যা কিছু
তারচেও তপ্ত ফোকরে, দূরে
ঐ টিলার 'পরে রোগ বাস করে
৩.
সাড়া দাও। সাড়া দাও গ্রন্থাদি
তোমার জলজ স্বর ফুঁ করে দাও
আমার মুখে -------
ঘুমের ভেতর, যত্নের ভেতর
আগের মতো এসো, মেরামতি করো আসবাব
এই অসাড় জীবন। এই সত্য। সত্য নয় অপচয়।
৪.
দুমুঠো বীজের জন্য এই ফল
ফলত কবিতার সামনে আমি আক্ষরিক
আমার মরুৎ গৃহপ্রাঙ্গণ
আমার ছুটে যাওয়া, দুরন্ত স্পন্দন
কিচ্ছু নেই আর; কোত্থাও নেই আমি -----
শুধু তোমার শ্রাবণ ক্ষেতের পাহারায়, ফুলাধার
৫.
বহু শতাব্দীর চেতনা ও ডানার দুপাশে
অন্ধ, বধির, বোবাগমন আমার শ্বাস।
তুমি শুনতে পাচ্ছো ধ্যান, অতিদূর নৌকাতে
তৃষ্ণার্ত করতল ভুলে আমি, লিখলাম চলন
কুয়াপাড়েই টিকে আছে একমাত্র দ্বার
অবসন্ন। চিঁহিঁফেক্ট। হৃদয় ধোঁয়া ঘ্রাণে
হাত ও পায়ের মাঝে একগাদা সাপ জমে আছে।
No comments:
Post a Comment