পত্রমিতালি
পুড়ে গেছি নিজস্ব উদ্যমে তরল জ্যোৎস্নার স্রোতে
ফলবতী ভুট্টাখেতে ক্ষুরস্য ধারায় ডুবে গেছে উদাসীন বিষণ্ণতা
মেয়েলি ব্রতের আলপনায় আঁকা ছিল কমনীয় প্রণয়ের ঠোঁট
পাখির নরম ডানা, মাছ, গাছ, পত্রমিতালি
প্রাগার্য সন্ধ্যার গানে বাস্তুসাপ মাথা তোলে ঐতিহ্য সাঁতরে
মাটির গন্ধ শুঁকে এসেছিলে কোনোদিন খড়ের ছায়ায়
ভালোটি বাসিবে বলে বোহেমিয় হলে
জীবনের কাছে গেলে প্রত্যয়ের দিশাটুকু পাই
তবু কি কুক্ষণে, মাত্রা গুনে, নির্ভুল লয়ে
বৃষ্টির মুদ্রাদোষে বিছানার কাছে এলে ভাঙাবুকে
পালছেঁড়া নৌকোর মেছো গন্ধে সংসার ওড়াই...
নান্দনিক বৈকালে হেঁটে গেছি পায়ে পায়ে মোরাম বিছানো রাস্তায়
সম্পর্কের হলুদ সুতোয় রোয়া ছিল স্বস্তিবচন
আলোসেঁচা নিরালায় এসো প্রেম নৈবেদ্য কুহক
অন্তহীন খিদের পৃথিবী থেকে তুলে আনি ভোগের সম্ভার...
ভরা শ্রাবণের দিনে মনে পড়ে উজ্জীবন নৈশ পাঠমালা।
No comments:
Post a Comment