জানলা সিরিজ
এক
জানলা থাকলে বাড়ির সদস্য সংখ্যা বেড়ে যায়। এক দুই তিন চার পাঁচ … যেমন খুশি বাড়িয়ে নেওয়া যায়। অথবা কোনো কোনো সময় একে এসেই রথের চাকা থেমে যায়। আসলে জানলা থাকলে তো বাড়ি হাট দরজা। কে এলো গেলো তার সংখ্যা কোথাও কেউ লেখে না। আস্তে আস্তে সবকিছু বাড়ির উঠোনের পাখির সঙ্গে এক হয়ে যায়।
দুই
জানলা থেকে চোখ সরিয়ে আনলেও বুক তো তখন খেলার মাঠ। চোখের যাবতীয় অলিগলি জুড়ে একটা গভীর আলোর রেখা। চারদেওয়ালের সমীকরণ থেকে তো কবেই নাম উঠে গেছে। মীমাংসার জন্যে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে নেই কোনো পা। এখন শুধু অনন্ত জলের প্রবাহ।
তিন
জানলা রোদের ভাগ নিতে এগিয়ে এসেছিল বেশ কিছু পা। অনেককাল ধরে জানলার সঙ্গে তাদের সখ্যতা বোঝাতে বেশ কিছু বাক্যকে হাতিয়ার করে তারা গলা তুলেছিল। যে গলায় নামমাত্রও ছিল না কোনো জলজ উষ্ণতা।।
কবিতার এই আঙ্গিক সচেতনতা নতুন না হলেও কবি হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় একে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছেন। বাইরে থেকে সহজ মনে হলেও অনুসরণ অসম্ভব।
ReplyDelete