দু’চোখে ধান হয়ে বাঁচি
গেল বছরের চেয়ে এবার আরো বেশি ধান চাই
মাটির সোঁদা গন্ধ মেখে— চোখে সোনালো ধানের স্বপ্ন।
বুক চিতিয়ে—
জমিতে হালচাষ করে মই দিচ্ছি। তুমি এসে
মই উল্টে দিলে!
আমি লেপ্টে যাই পলি কাদায়।
পিঠের ওপর দিয়ে মই যখন যায়—
জীবন উল্টে নাক ডুবিয়ে কাদামুখো হয়ে আছি।
লাগিয়ে দাও ধানের চারা।
খুব ভালো চাষ দিয়েছি।
ভাদ্রের ভরা রোদে গলছি।
জীবন কিছু কাদাই তো—
কিষাণরা বুনে যাচ্ছে জীবন। এবার ভালো ফসল ফলবে।
নবান্নের উৎসব হবে। পাইজাম, বিরই, কার্তিকশাইল, রতিশাইল...
কি মিষ্টি সব ধানের নাম!
ঘোড়ার লেজের মতো, পাকা ধানের ছড়া— নতুন ভাতের গন্ধ।
আমি অঘ্রানি ধান দেখব বলে— দু’চোখে ধান হয়ে বাঁচি।
জো
কাঠফাটা রোদ। মাটি শুকিয়ে ফেটে চৌচির।
পিপাসার্ত পাখিরা ঠোঁট তুলে বসে থাকে গাছে।
জল নেই একফোঁটা!
সহসা, বৈশাখী মেঘ এসে নিজেকে ঝরায়!
ঝরঝর বৃষ্টির পরে মাটিতে জো আসে—
বীজের জন্য তৈরি হয় মাটি। ধারণ করে
সোনালো বীজ।
জন্ম নেয় জীবন— সবুজ অঙ্কুর!
তার চেয়ে কষ্ট যেন, কবির অন্তরে জো আসা—
কে জানে, কোত্থেকে এসে পড়বে সোনালো
শব্দবীজ!
ঘাই মেরে দেবে—
কবির হৃদয় আলোড়িত হবে।
অঙ্কুরিত হবে নতুন চারা
জড়ায়ু ভেঙে ওঠে আসবে কোনো কবিতাগাছ।
No comments:
Post a Comment