আহুতি
বালিখাঁজের ভিতর ঘরদোরের হাড়গোড় নামানো রইল, আশুতোষ।
দিনের ঔরস ফুরিয়ে গেল। দেউটি পেরোতে পেরোতে
কত সন্ধ্যা অতীত ক’রে হাড় ছুঁতে পাবে, ভেবেছ?
কৈবল্যে দুলে উঠছে বালিস্তর; মাথায় পিদিমের ছায়া
চমকে উঠছে ক্রমাগত। আমাদের ফেরাগুলি সহজ হবে না আর।
শিবিরে শিবিরে ভক্তপ্রাণ নখে শান দিচ্ছে...
বালিখাঁজের ভিতর ভান, ভাষা নামানো রইল, আশুতোষ।
এই উৎকোচ শেষ তামসিক আরতির জরায়ু ভেঙে
মুখ ভেঙে সন্ধান ভেঙে তোমার পাদপদ্মে মরা কাঁকড়ার মতো
লুটোপুটি খাবে। আমরা মূক হয়ে প্রব্রজ্যায় শস্যের মাহাত্ম্য
পাব ভেবে বহু ধ্বনি পেরিয়ে যাচ্ছি। প্রণামী ধরিয়ে দিয়ে
কত এয়োস্ত্রী সন্তান-কামনা ছুঁইয়ে চলে গেল, অথচ
ভাষা বিসর্জন দিয়ে হাড়গোড় বালিখাঁজের নাইকুণ্ডলে
ঠুসে আমাদের স্পর্শবোধ অজপা হয়ে গেছে।
একটি শ্মশান যেন মুহূর্তে আগুনদাতা—এই তৃপ্তির মুখে আমিষগন্ধ
ভোগীর চিহ্ন হয়ে রয়ে গেল স্খলনে স্খলনে। আশুতোষ,
আমাদের চলাগুলি যতদূর এগোতে চায়, ততদূর গমন পাথর...
বালিখাঁজের তলায় হাড় বালি ঘর বালি। শেষ উৎসর্গে
বুক চিরে লিঙ্গে দুধ দিয়েছি। আদিদেব, এই নিয়ে সন্তুষ্টি পেরোও।
No comments:
Post a Comment