স্তন্যপায়ী বনজ্যোৎস্না
হিরো হিরো গেঞ্জি পরে ও-পাড়ার গোবর্ধন
একটা-দুটো নয়, একেবারে ট্রিপিল এমএ
সে লাল রং, সবুজ রং এবং হলুদ রং এ এমএ করেছে
এখনো নীল আর সাদা রঙে মাস্টার্স করাটা
বাকি রয়ে গেছে
ও বলেছে, সেগুলোও করে নেবে
কিন্ত গোবর্ধন এতদিন যেটা জানায়নি
তা হল, এতগুলো মাস্টার্স নিয়ে ও কী করবে
একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম সেকথা, সে হাসতে হাসতে বলল
সে নাহয় বলছি, কিন্তু তুই কী বুঝবি্, তবে শোন,
মহাশূন্যের গায়ে ঘুঁটে দিতে দিতে যখন
লাল-রঙের মেজো-বঊয়ের সঙ্গে
মিড-ডে মিলেরর ছোলায় ষষ্ঠীপুজো সেরে আসা
হলুদ রঙের ছোটো গিন্নির
ধূম ঝগড়া লেগে যায়
তখন সেতারের খিদে নিয়ে গিটার বাজাতে বাজাতে
সবুজ রং থেকে এক সদ্যযৌবনা বেরিয়ে এসে
বামুনপাড়ার মৌমিতার চারপাশে ঝমঝম বাজতে শুরু করে
আর কী বলব ভাই, সেই বাজনার তালে
আমার নতুন কবিতার পাণ্ডুলিপিটাও
থুতনির নীচে মাস্ক ঝুলিয়ে
‘কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা’ বলে
নাচতে নাচতে
সত্যি সত্যি উধাও হয়ে যায়
বর্বর-জন্মের স্তন্যপায়ী বনজ্যোৎস্নায়
তখন আমিও একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচি
জেল-পেন উঁচিয়ে টেনে নিই
আরো একটা সাদাপাতা
No comments:
Post a Comment