মহেঞ্জোদাড়োর শিল্পেশ্বরী
মহামানিনী আমার।কেন ফেল প্রাচীন
নিঃশ্বাস!
নয় কল্পনাপ্রসূত ,তুমি মহেঞ্জোদাড়োর
শিল্পেশ্বরী।
জন্ম জন্ম কাটিয়েছ নিস্তরঙ্গ পাথর
প্রবাহে।
উঠে এসো 'নৃত্য মেয়ে',ভাঙো,
পাথরের স্তব্ধ শোক
বহু কালরেখা পরে,শ্রান্ত সহস্র
অট্টপালিকা
কেন এত মনস্তাপ!গম,যব,
মহাশস্যাগার
সিন্ধু -নদ রসাতলে ,এই ভেবে
কম্পিত রোদনা!
সৃষ্টি, স্থিতি অনশ্বর - কোথাও কী
শুনেছ এমন?
সভ্যতার অস্থিমাংস ধূলো ধূলো
শূন্য মহাকাল।
প্রত্নবিৎ দিশেহারা।গুপ্ত কুলুঙ্গিতে
উপবিষ্ট
শ্মশ্রুধারী সে পুরুষ আজ জ্ঞানাতীত
ইতিহাস।
তুমি শৃঙ্গার -সংরাগে তার প্রিয় নারী
ছিলে,জানি
কীভাবে বিস্মৃত হবে একশৃঙ্গ
হরিণীর স্মৃতি!
সিন্ধু লিপি নেড়ে চেড়ে ক্ষয়ে গেছে
হৃদয়ের ধার।
কল্যাণী ,কোথায় সেই প্রগলভ
নূপুরের ধ্বনি?
তাম্রফলকের দিব্যি। মৃতস্তূপে হারিও
না মন।
রক্ত মাংসে পুষ্ট হ ও,সিন্ধু নারী শরীরী
ভাস্কর্যে
পুরাতত্ব সব নয়,জেগে ওঠে প্রাচীন
প্রাচুর্য।
No comments:
Post a Comment