কুম্ভীর
যে বিরহে এ মরজগৎ,
বর্তুলাকার হয়ে প্রণোদনা দিয়েছিল
ছাদ গুঁজে দিয়েছিল বিপ্লবী-জানালার ঘাড়ে
স্বভূমিগর্ভজাত ঘর ঢেকে রাখা পাটাতনের বিভাব
যাকে গেলবারে অঞ্চল নামে দেগে
পরিজনাদেশে টেনে এনে
মেজাজের মজলিশে খসিয়ে পরখ করা
হয়েছিল বৃষ্টিবরাত
আজ তারই জবানের বন্দীদশায় আমি
খেচরের ঘুম ভাঙানোর অপরাধ মানি--
তালুময়, সাক্ষীবিহীন
শ্রাবণের ঘাম ছুটে যায় টলোমলো স্বরে
যে-কোনো ডাঙায়
শুধু ফোঁটার মহিষজ্বালা চিনতে না পেরে
পোশাকের ছিটে নকশা রাঙিয়ে,
ঠোঙার চুপসে যাওয়া ধারণক্ষমতা ভুলে
ভাটিয়ারী পংক্তি ভাসায়
জানে বিরহের ভাগ কম পড়লেও
সেই ক্ষমার ঠ্যাঁটামি,
পালাবে না সংসার ছিঁড়ে।
No comments:
Post a Comment