আঠা
সুখকে নিজের মত থাকতে দিয়ে
‘আনন্দ’ বানানের পাশে বসি
ওর সানগ্লাস থেকে ফিরে যাচ্ছিল রোদ্দুর
টিফিনকৌটোয় জমছিল আগামী
ওকে বলছিলাম, একা একা চলে গেল একটা বর্ষাকাল
ওর ফুলস্লিভ জামার নিচে এত এত দূরের কথা
এত দুধভাত মাখা বাটি
ওদের অপেক্ষার কথা শুনছিলাম
মাথার উপর ঢিলেঢালা মেঘেদের মধ্যবয়সী জ্ঞানগম্মি
ওরাও শুনিয়ে গেল নক্ষত্রপাড়ার কু্টকাচালি
সুখকে নিজের মত থাকতে দিয়ে
আমরাও খুলে দিলাম যৌথ সুখ
একা একা থেকে যাওয়া সমস্ত না থাকার জন্য---
নরক
অপরাধ তর্জমা করে যে বিষাদ থিতু হয়
শ্রীখোল বাজায় তাকে, মৃদঙ্গ ঘর দেয়
বমির দাগে লেগে থাকা পাপ বাঁশি হবে জেনে
ছাদের তারে ওড়ে তারার আঁচল
চেয়ারে চেয়ার ঢুকে যাওয়া মেধা
কত কি বোঝায় রোজ
ডুমো ডুমো জ্যোৎস্নায় মজে ওঠে কাম ব্যঞ্জন
কী যে সুঘ্রাণ ! কী মাংসগান
আহা নরক নরক !
No comments:
Post a Comment