মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ , ১৯-তম প্রয়াস
রবিবরের কথায়...
আজ পড়বো রঞ্জনা ভট্টাচার্যের কবিতা ও অনুভূতি।
১] তার লেখা প্রথম প্রকাশিত কবিতা।
অঘোরের সপ্তাশ্ব । সুস্মিতা রায় সম্পাদিত ট্রাপিজে ১৪১৯এর দীপাবলি সংখ্যায় প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।
তার আগে স্কুল, কলেজ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে কিছু লেখা।
২] তার প্রথম কবিতা প্রকাশের অনুভূতি।
ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা স্পর্শ করার
সুখ অপত্যসুখের মতো অনাবিল। সৃষ্টির আনন্দ ও প্রকাশের আবেগ মিলে মিশে এক অভূতপূর্ব অনুভুতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
রঞ্জনা ভট্টাচার্যের কবিতা...
অঘোরের সপ্তাশ্ব
কাব্যদৃশ্য_১
নিয়তির সাথে কাটাকুটি খেলতে খেলতে
চাঁদ ঝলসানো রাতে অঘোরে এক_কাঁড়ি হাঁটে_
হেঁটে হেঁটে হাটে যায় আসে; সব্জির
গায়ে লেপ্টে থাকা সুখদুঃখ বেঁচে_কেনে;
বিসু্্যদবারের হাট। পানপাতা, সুপারি আর
আম পল্লব নিয়ে চোখের সামনে রূপালী পর্দার
মাছ নাড়ে_চাড়ে, মাছে আর পানে মিশ না খায়
সাবধানে_
কাব্যদৃশ্য _২
জলের গায়ে লেগে থাকা চাঁদের দাগ
ওর মাজা মাজা রঙে চমকায়! জলঢালে
আর ও জল ঢালে... নিয়তির কানে বিড় বিড় করে;অঘোরনীর মুশকিল আসান খোঁজা চলে
পাঁচালীর পাতায় পাতায়...
'দেবীর কৃপায় তার দুঃখ হলো দুর।
পতি হলো সুস্থ দেহ ঐশ্বর্য প্রচুর।।'
কাব্যদৃশ্য_৩
ছেলেটার ওষুধ আজও আনা হলো না।
ঝাঁক ঝাঁক ডেয়ো পিঁপড়ের কামড় মাথায় ঊরুতে;, কলতলায় মন পিছলায়_
ও পাড়ার জ্যোতিষ বলেছে সব ঠিক হয়ে যাবে,
পাঁচমাস বাদে; পাঁচটা মাদুলি আর তন্ত্রমন্ত্রের
সংস্কৃত আতঙ্কে রোগ বালাই দৌড়ে পালাবে_
কাব্যদৃশ্য_৪
নিয়তির সাথে বোঝাপড়া করে অঘোর,
মন বলে,'সেরে যাবে ছেলে'।
দগদগে লাল সিঁদুর মাথায় অঘোরনী
প্রসাদ দেয়।
দীর্ঘ বিশ্বাসের প্রশ্বাসে চিনি দানা মিশে যায় রক্তে_
কাব্যদৃশ্য_৫
প্রসাদী ফুল মাথায় দেওয়া, আধ শোওয়া ছেলেটা ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে_
কাব্যদৃশ্য_৬
ছেলের পাশে পিঁড়িতে বসে,
সাপটে মাছ ভাত খায় অঘোর ,
আজ_কাল_পরশু ,মাস, বছর পার
হয়ে যায় খেতে খেতে_
কাব্য দৃশ্য_৭
অঘোর হয়তো জিতে যায়, অঘোরে হয়তো জিতে যাবে_
জীবনের সাথে কাটাকুটি খেলাতে।
বেশ, সপ্তাশ্ব ছুটছে..
ReplyDelete