Friday 31 January 2020

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ , ৩১-তম প্রয়াস














হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

পাখি রঙের আকাশ ------- ৩০

পূর্ণিমার দিনগুলোতে মা সারা রাত জেগে থাকতো। আমাকেও জাগিয়ে রাখতো। মা বলতো, বোকারাই রাতে ঘুমায়। কোনো কোনো রাতে আমরা জ্যোৎস্নায় মাঠে যেতাম। মা জমির আলে পা ছড়িয়ে বসত। আমি মাঠে শুয়ে মায়ের কোলে মাথা রাখতাম। কোনো কথা নেই। আমি জ্যোৎস্না দেখতাম আর মা দেখত আকাশ। কোথায় ডুবে যেতাম জানি না। সম্বিত ফিরলে বুঝতে পারতাম আমার গাল ভেজা। দেখতাম মা কাঁদছে। এইসময় একটা গলা ভেসে আসত ------ "আজ আকাশ-মাঠে জ্যোৎস্না বেড়াতে এসেছে। কাল থেকে আর কেউ ফিরেও চাইবে না।" এই একদিনই মায়ের গলা চিনতে পারতাম না।

পাখি রঙের আকাশ ------ ৩১

ঠিক করলাম তোমাকেও বলব শেষবার । বিশেষ কিছু কি হবে ? কোনোদিন তো ভাবি নি এসব। তাই আজও ভাবব না। বলিই না। কথা তো আমার নয়। তাহলে কেন সে পড়ে থাকবে ঘুপচি গলির শেষে এক চিলতে বারান্দায়। সে তো ছাড়াই থাকে । আমি শুধু কয়েকদিনের জন্য নিয়েছিলাম বুকে ধরে রাখব বলে। আমি দেখব কথা তোমার কাছে কোন পথে হেঁটে বেড়ায়। কিন্তু আমি তেমন তো অভিজ্ঞও নই। আমার দেখা যে ঠিক তাই বা আমাকে বলি কি করে। আমি তো সেইভাবে কোথাও কিছু জিতিও নি। তাই আমার দেখার চোখটা আমাকে ঠিক কতখানি দেখিয়েছে সে সম্পর্কেও আমি বিশেষ কিছু বলতে পারব না। কিন্তু কেনই বা এসব ভাবনা ! আমার কথা আগে তোমাকে বলি। দেখব আমার কথাই তোমাকে জড়িয়ে থেকেছে। কত জল তো আমাদের ছুঁয়ে যায়, কিন্তু তারা কবে কোথায় আমাদের নির্মাণ করেছে?




No comments:

Post a Comment