Monday, 27 January 2020

পৃথা চ্যাটার্জি

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ , ২৭-তম প্রয়াস











শীতের উষ্ণতা   পৃথা চ্যাটার্জি 
শীতের মধ্যে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য আর সম্পদের পূর্ণতার দান রয়েছে। সোনালি ফসলে  বাংলার কৃষকের মনে আজও আনন্দের বান আসে।গ্রাম বাংলার কৃষক বৌএর মুখ এই সময় খুশিতে ভরে থাকে। শীতের সাথে আমার সখ্যতা আছে।আমি তাকে ভালোবাসি। আতপ চাল ধোয়া শীতল হাতে মায়ের গন্ধ খুঁজে পাই। ছোট বেলায় আমরা এই সময় বন্ধুদের  সাথে অনেকবার চড়ুইভাতি বা পিকনিক করতাম। আয়োজন খুব সামান্য ছিল, কিন্তু আনন্দ ছিল অপার।
মা ইতুপুজো করতেন। গাঁদাফুল,আল্পনা,ফলমূল আর ধুনোর গন্ধমাখা সেই সকাল  আজও  আমাকে হাতছানি দেয়।  তখন নবান্নের আনন্দ ছিল। আর ছিল পিঠে- পুলি- পায়েস;তার সাথে নতুন গুড়ের সুগন্ধ মিশে চারিদিক ম ম করতো।
 বাড়ির বাগান আলো করে ফুটে থাকতো গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা। বাবা এই ব্যাগভরে বাজার করে আনতো টাটকা ফুলকপি বাঁধাকপি,বিট,গাজর...। সবজির দাম কম থাকতো এই সময়ে।বাসন্তী শাড়ি আর সদ্যোজাত প্রেমে সরস্বতী পুজোর আনন্দ ছিল অপার। শীতের ফুলকপি কড়াইশুঁটি দিয়ে খিচুড়ি আর বেগুন ভাজা অমৃত ছিল।  শীতের রাতে আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে বসে আগুন পোহাতে দেখতাম অভাবী মানুষকে।এখন আর সেই অভাব নেই। অথচ সবকিছুর মধ্যে কী যেন এক আনন্দ ছিল যা এখন আর খুঁজে পাই না ।

No comments:

Post a Comment