পরিবর্তে (ব্ল্যাকহোল)
অমল মুসাফির জেলার একজন বরিষ্ঠ কবি। ৩৩ টি কাব্যগ্রন্থ, একটি উপন্যাস আর দু'টি প্রবন্ধের বই তাঁর সৃষ্টি সম্ভার।নাম-ডাক বেশ।আগে প্রায়ই প্রত্যেক কবি সম্মেলনে তাঁকে যেতে হোত। এখন খুব একটা যান না। এ ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতা, এগুলো অহেতুক চিৎকার আর নাক শোঁকা-শুঁকি, পিঠ চুলকানোর বিষয় হয়ে উঠেছে। তাছড়া কেউ কারো লেখা শোনেও না,নিজেরটি পড়েই চলে যায়!
গত রবিবার তবু বাধ্য হয়েই জেলার একটি বড় পত্রিকার আয়োজনায় তাঁকে যেতে হোল। প্রধান অতিথি হয়ে।সভা আলো করে বসে স্থানীয় এম এল এ, থানার বড়বাবু ও গণ্যমান্য কয়েকজন।তাঁদের মধ্যমণি কবি অমল মুসাফির। পত্রিকাটি নিয়ে কিছু কথাবার্তা ও গান বাজনার পর শুরু হোল কবিতাপাঠ। প্রথমে প্রধান অতিথিকে দিয়েই শুরু হোল কবিতা পাঠের আসর ।অমল মুসাফির দু'একটি সৌজন্য মূলক কথা বলে নিজের কবিতা না পড়ে রবীন্দ্রনাথের"প্রথম দিনের সূর্য... এই ছোট্ট কবিতাটি পড়েই বসে পড়লেন।যথারীতি হাততালির বন্যা বয়ে গেল কিছুক্ষণ। সবার কবিতা শেষ হোতে আরও ঘণ্টাখানেক লাগল।
সভা শেষে স্টেজ থেকে নেমে আসছেন, অনেকেই কৃতজ্ঞতার হাসি নিয়ে তাঁকে বিদায় জানাল।একজন ভি আই পি, তিনি একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন করমর্দন করে বললেন," স্যার,আপনার কবিতাটি অসাধারণ, কী গভীর ভাব, কী সহজ সরল ভাষা, আহা! কোথাও দিয়েছেন নাকি প্রকাশের জন্য? যদি না দিয়েছেন তো,আমাকে দিন,কথা দিলাম ফার্স্ট পেজে সুন্দর অলঙ্করণ করে ছাপাবো!"
কবি অমল মুসাফি কি বলবেন ভেবে না পেয়ে মুচকি হেসে হাতে ধরা ফুলের তোড়াটি ওর হাতে তুলে দিলেন।
পড়লাম।
ReplyDeleteপড়লাম,ভালো লাগলো।
ReplyDelete