অনুক্ষন
এই যে তুমি চেয়ে আছো-এই অনুক্ষনটুকুই শুধু তোমার জন্য বরাদ্দ ,বাকিটা সময় কুলকুচি করে ফেলে দি তোমার চোখ, ঠোঁট , ছেঁড়া উষ্ণতা ব্যাপারটা এভাবে ভাবাই বাঞ্চনীয় ছিল ! অথচ প্রবাহের গতি যে একমুখী-পাথর চাপা দিতে গেলে ফিনকি দিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে, ক্রমশ রক্তাক্ত করে প্রানগ্রন্থির গভীরে ! শূন্য প্যালেটে একমুঠো অক্ষমতা তেজস্ক্রিয় হয় ।
আজকাল মনে হয় স্বপ্ন দেখতে দেখতে ভুলেই গেছি বাস্তবে তোমায় শেষ কবে ছুঁয়েছিলাম, শেষ কবে তোমার জন্য পথের দিকে চেয়ে ছিলাম,শেষ কবে তোমার জন্য ভাত বেড়েছিলাম, শেষ কবে তোমায় চরম মূহুর্তে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলাম ।আসলে স্বপ্ন দেখতে দেখতে স্বপ্ন দেখা টাই একটা ইলিউসরি অভ্যেস হয়ে গিয়েছে।
তুমি খামোখাই এই মোহিনী মায়ায় জড়িয়ে পড়েছো ,
অথচ কবিতার খাতায় নথিভুক্ত করতে পারোনি আমাদের আবিষ্ট রাতের উপসংহার,যদিও না পারাটা তোমার দোষ নয়,অপারগতা ।খোলামকুচির মতো চিনির দানা আবেগে স্যাচুরেটেড হয়ে ,স্বাদকোরকে বাসা বাঁধতে চাইছে,আমি শূন্যাঙ্কে দাঁড়িয়ে তোমার দ্বিধান্বিত সহাবস্থান দেখছি আর নাবিক হয়ে ক্রমশ মোহনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ,এক পালতোলা নৌকা । তুমি ভাসতে ভাসতে ক্রমশ শ্রোতের টানে পঙ্গু হয়ে পড়ছো , যাবতীয় ধ্রুবক প্রোপ্যাগ্যান্ডা ফ্লুইডের মত তরল অনুষঙ্গে আবিষ্ট হচ্ছে।এ দোষ কার ? তোমার না আমার? নাকি ওই অনুক্ষনটুকুর ?
বেশ ভালো লাগল।
ReplyDelete