দোঁহা
৩১৫
নরকে যার শয্যা পাতা তার কি আছে হাপরকুঞ্জে ভীতি?
জনম তাহার -- স্রোতের নাটে বহতা নদ সীতার মলিন সিঁথি
৩১৬
অকাল বর্ষণে বৃক্ষ-জাগে, কে শুনিবে এই অবেলার ডাক
সাঁঝের বেলার দুঃখগুলো একলা-নিরব; বুকের ধারেই থাক।
৩১৭
সুরার বাটিতে ক্লান্ত আল্জীবের জলগন্ধী চুমু
প্রার্থনায় নগ্ন হলে,
আমাকে জাগালো কে সে! চোখমগ্ন কুয়াশার রঙে
বাল্মীকি ছোঁয়ার ছলে।
৩১৮
সবকিছু তার পুণ্যে ভরা, আমার বেলায় শূন্য এবং পাপ!
বিনা-ভ্রমর গোষ্ঠঘরে, ফলের বাহারÑ দগ্ধ অনুতাপ।
৩১৯
দারুক চেয়েছে-- অগ্নিপুরাণ, আগুন ছুঁয়েছে আমার অযুত কৃষ্টি
জ্বর-উত্তাপে মঞ্চে নাচুক অর্ধ-ছটাক রক্ত কাজল বৃষ্টি।
৩২০
কে যে ওড়ায় মেঘের ছায়া রাধার বাড়ির ঊর্ধ্বে
কানাই এসে ছন্দ-লীলায় আমার দোঁহায় সুর দে!
৩২১
একমুঠো দাবদাহে-- স্নানে যেতে চেয়ে কাকে যেন হারিয়েছি ঘাসে
তালু জুড়ে বরফের কুচি, উষ্ণধারা ঢেলে দিলো কার মূল উল্লাসে।
এক একটা দোহা যেন জৈবনিক আয়াত হয়ে উঠেছে। কবিকে কুর্নিশ।
ReplyDelete