Sunday 16 August 2020

| কৌশিক দে | ১৬ই আগস্ট |

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||












কৌশিক দে-র ধারাবাহিক উপন্যাস
আসাযাওয়া____

পর্ব : 

আমি পকেট থেকে একটা সিগারেট-এর প্যাকেট বের করলাম। তিতলী বললো, এখন সিগারেট খাবেন না। আগে আমার প্রশ্নের জবাব দিন।
আমি সিগারেটের প্যাকেট হাতের মধ্যে নাচাতে নাচাতে বললাম, ১০০ ডলার সপ্তাহে খারাপ অফার না। চাইলে আ‍‌মি আপনার গাইড হতে প্রস্তুত।
ভোরের আলার মতো মলীন হাসি দিয়ে তিতলী বললো, এতো আপনি আমার মনের কথা বললেন। আমিও এটাই ভাবছিলাম। আপনিই তা হলে আমার গাইড হবেন। তবে একটা কথা আরও বলার আছে।
আমি বললাম, আবার কি কথা! সিগারেট ধরাই এবার?
বিচলিত হয়ে তিতলী জবাব দি‍‌লো, না, আমি যখন বলবো তখন ধরাবেন। সিগারেটের ধোঁয়া আমায় গভীর চিন্তা করতে বাধ্য করে। আমি আবার চুপচাপ হয়ে যাবো। এবার শুনুন যে কথাটা বলার ছিল তা হলো, আপনার শনি-রবি ছুটি থাকবে। এবার প্রশ্ন করুন কেন?
- কেন?
- কারণ, ঐ দুটি দিন আমি কলকাতার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ঘুরবো। আমি সেসব জায়গায় থাকা মানুষগুলোকে অবজার্ভ করতে চাই। মানুষ যখন ভক্তি ভরে পুজো করে তখন তাদেরকে অবজার্ভ করার মধ্যে আমি আনন্দ খুঁজে পাই। আপনি যদি এসবের ক্ষেত্রে রাজি হয়ে থাকেন তাহলে জানান।
- আমি রাজি। এবার সিগারেট ধরাই?
- তাহলে আজ থেকেই আপনি কাজে‍‌ নিযুক্ত হলেন। কোনোদিন কাজে কামাই করলে সেদিনের টাকা পাবেন না। আমার হাতে সত্তর দিন সময় আছে। তারপর আমার ভিসা শেষ হয়ে যাবে। তাই আমার কাছে প্রতিটি দিন খুব ইম্পরটেন্ট। এবার আপনি সিগারেট ধরাতে পারেন।
আমার সিগারেট ধরানো হলো না। কারণ হোটেল পিয়ারলেস এসে গেছে। আমরা গাড়ি থেকে নামলাম। তিতলী গাড়ি থেকে নেমে সোজা হোটেলের ভিতরে ঢুকে যায়। আমিও তার পিছন পিছন হোটেলে ঢুকলাম। পিয়ারলেস হোটেলের ৮তলার ৪০৫ নম্বর রুমের সামনে গিয়ে তিতলী বললো, আপনি এখানে দাঁড়ান। আপনা‍‌কে আমার আরও কিছু বলার আছে। তিতলী ঘরে ঢুকে গেল। মিনিট পাঁচেক পর দরজা খুলে আমায় ভিতরে আসতে বললো। আমি ৪০৫ নম্বর রুমে ঢুকে একটি সোফায় বসলাম। তিতলীকে দেখলাম আমার মুখোমুখি বসতে। সে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, আপনাকে কাজে নেওয়া তো আমার হয়ে গেছে কিন্তু কাজ করার আগে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
                               
                                   আগামী কাল আবার পড়বো




No comments:

Post a Comment