|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||
কৌশিক দে-র ধারাবাহিক উপন্যাস
আগামী কাল আবার পড়বো
কৌশিক দে-র ধারাবাহিক উপন্যাস
আসাযাওয়া____
পর্ব : ৪
মেয়েটি বলল, অদ্ভুদ ব্যাপার, আমি সত্যিই একট বিষয় নিয়ে গম্ভীর চিন্তায় ছিলাম।
- কি ব্যাপার?
- সেটি পরে বলবো। আপনি এত ভোরে কি অফিস যাচ্ছেন না ফিরছেন?
- আমি ফিরছি।
- কিছু মনে না করলে আমি কি জানতে পারি আপনি কি করেন? কোনো অসুবিধা থাকলে বলতে হবে না।
আমি মৃদু হেসে জবাব দিলাম, আমি পার্ট টাইমে একটা কাজ করি। নাইট টিউটি।
মেয়েটি বলল, দেখুন কান্ড, এতক্ষন হয়ে গেল আমার নামটাই আপনাকে বলা হয়নি। আমার নাম তিতলী। আপনার নাম কি?
- আমার নাম শঙ্কর, তবে আমায় অনেকে শঙ্কু বলেও ডাকে।
- শঙ্কু নামটাই ভাল লাগল। যাইহোক, আপনাকে আমি আমার সম্বন্ধে কিছু বলি। আমার আরও একটি সাহায্যের দরকার। মনে হচ্ছে আপনি আমায় সেই সাহায্যটাও করতে পারবেন।
আমি নিজেকে ট্যাক্সির সিটে হেলিয়ে দিয়ে হাই তুলতে তুলতে বললাম, বলুন।
তিতলী বলে চলল, পাঁচ বছর বয়সে আমার মা মারা যায়। তারপর আমার বাবা আমায় এখান থেকে নিয়ে ইংল্যান্ড চলে যায়। আমি ওখান থেকেই পড়াশুনো করি। বর্তমানে আমি পদার্থবিদ্যায় Ph. D করেছি।
আমি কিছুক্ষন অবাক হয়ে তাকালাম তিতলীর দিকে। ভাবলাম, এত সুন্দর মেয়ে পদাথবিদ্যা নিয়ে কেন পড়াশুনা করলো। একে তো সাহিত্য নিয়ে পড়া উচিত। পদার্থবিদ্যা বা অংকের মানুষগুলো হবে চোয়ার ভাঙা, রোগা-প্যাটকা, চোখে হাই পাওয়ার চশমা। কোনো দিক থেকেই এই মেয়েকে পদার্থবিদ্যার মানুষ বলে মানাচ্ছে না।
তিতলী আমায় বলল, আমি কলকাতায় এসেছি একটি বই লিখতে। পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি আমি লেখালেখিও করি। আমার বহু লেখা লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। যে বইটি আমি এবার লিখবো আমি তার নাম দিয়েছি ‘কলকাতা এক মায়াবী নগরি’। নামটা কেমন লাগল আপনার?
আমি হাই তুলতে তুলতে বললাম, বেশ সুন্দর হয়েছে। কি সাহায্য দরকার সেটা বলুন।
তিতলী বললো, হ্যাঁ, এবার সেটাই বলবো। কলকাতায় আমার জন্ম হলেও এই শহরের আমি কিছুই চিনি না। আর আমার বই লেখার জন্য আমায় এই শহর ঘুরে দেখতে হবে। এই শহরের আনাচে কানাচে কি ঘটছে তা জানতে হবে আর তাই আমার একজন গাইড দরকার। আমি তাকে সপ্তাহে ১০০ ডলার দেবো। এবার আপনি কি আমায় একজন গাইড জোগাড় করে দিতে পারবেন?
আগামী কাল আবার পড়বো
No comments:
Post a Comment