Sunday 9 August 2020

| কৌশিক দে | ৯ই আগস্ট |

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা | | ২-য় বর্ষ ||












কৌশিক দে-র ধারাবাহিক উপন্যাস
আসাযাওয়া____
পর্ব :


পার্কসার্কাসের রেললাইনের ঝুপড়িতে একডাকে চে‍‌নে আসিফ কালিক’কে অ্যাসিড দাদা বলে। এর কারণ তার কাছেই একমাত্র এই অ্যাসিড পাওয়া যায়। যার দাম এক লিটার আড়াই হাজার টাকা। আসিফভাইকে প্রশ্ন করেছিলাম, তবে সে উত্তর দয়েছিল, ভাইজান, নাম জানি না। খিদিরপুর ডকে মাল আসে। আমি নিয়ে আসি। আমিও এর নাম কো‍‌নোদিন জানতে চাইনি। তবে এখন এই অ্যাসিডের কাস্টমার অনেক।
 এরপর থেকে আমি আসিফের কাছে যতবার গেছি সে কখনও ‘নাইট্রিক’, কখনও ‘সালফিউরিক’, আবার একবার বললো এই অ্যাসিড আমেরিকার এক বৈজ্ঞানিক গুপ্তভাবে তৈরী করেছে। তার নাম অনুসারে এই অ্যাসিডের নাম ‘আর্মাড’। মানুষ যখন অন্তরীক্ষে যায় রকেটে চেপে তখন তাদের এই অ্যাসিড দেওয়া হয়। প্রয়োজনে তারা ইস্পাতের মতো ধাতুও এই অ্যাসিড দিয়ে গলিয়ে দিতে পারে।
 আমি আজ ঘুরলাম বাগুইহাটির অস্বীনিনগর অঞ্চলে। বেশ কয়েকটি বাড়ি চিহ্নিত করে রাখলাম। বেশিরভাগ বাড়িতেই একটা করে তালা ঝুলছে। কিন্তু এরপর আমার এই বাড়িগুলোতে নজর রাখতে হবে। বাড়িতে কজন থাকে। কুকুর আছে কি না, বাড়ির লোক ব্যবসা করে নাকি চাকরি। এরপর আমায় আমার গ্রুপকে খবর দিতে হবে। আমি প্রতিটি অপরেশনে নতুন ছেলেদের নিয়ে কাজ করি। আমার গ্রুপে থাকে আমি ছাড়া আর দু’জন। আমি ছেলে তুলি চাঁদনি বা পার্কসার্কাস থেকে। গ্রুপে বেশি ছেলে নিলে মুস্কিল। এতে সমস্যা বাড়ে। অধিক সন্ন্যাসিতে গাজন নষ্টের মতো ব্যাপার।
আজ রাতের মতো আমার কাজ শেষ। এখন ভোর ৫টা বাজে। আমি বাসে করে এসে নামলাম এয়ারপোর্টের সামনের একটা মাঠে। এখানে হরির চায়ের দোকানে দু’কাপ চা খাবো। তারপর সোজা বাড়ি।
হরির চায়ের দোকানে সারারাত চা পাওয়া যায়। আমায় দেখা মাত্র হরি হাসতে হাসতে বললো, দাদার আজ মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেল। অফিসে কাজ ছিল বুঝি!
                                            আগামী কাল আবার পড়বো----  

No comments:

Post a Comment