কৃষ্ণ
দেবলীনা
১)
কোন এক খরানি দুপুরের পঙ্ ক্তি তর্জমা করছিলাম বিষাদ নির্জন কোণে
হঠাৎ রোদ্দুরের ছেঁড়া দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লো
বেশরম বাতাস... উড়ে গেলো
পাখিঘরের - ছন, পালক, ঘ্রাণ।
এই আক্ষেপে —
অবচেতনেই প্রশ্ন করি,
বিষণ্ণ এ্যামপ্লিফায়ারে বাজে এ কোন সুর!!
জমাট মেঘেদের ভিড়ে খিল খিল করে হেসে উঠলে তুমি - কৃষ্ণ
তুমি এলে আকাশের কয়েক আউন্স নীল মেখে
তোমার মোহন বাঁশির উচাটন স্বর আমি এখন বুঁদ হয়ে শুনছি ...
না এ কোন স্বপ্ন নয় , ঘুম নয় এ যেন এক
গোপন ইশারা
গড়িয়ে পরছে নাচের মুদ্রায় শরীর থেকে মনে,আঁকছে স্বস্তিক চিহ্ন দ্রিমি দ্রিমি ছন্দে!
২)
আজ সবকিছু কেমন পালটে যাচ্ছে ,
চারপাশ হয়ে উঠছে যেন উজ্জ্বল পূর্ণিমার চাঁদ
রামধনু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে উন্মাদের মতো রং
বাতাসে ভাসছে এক আশ্চর্য্য নেশা
আর আমার ব্যাকুল ভাব শুধু ছুঁয়ে যেতে চাইছে
সেই ললিত সুর..
নীরব, মূক , চলচ্ছক্তিহীন আমি যেন বিনোদিনী - রাই
ডুবে যাচ্ছি ক্রমশ তোমার ঐ গাঢ় নীল কৃষ্ণগহ্বরে...
৩)
তোমাকে পড়তে আসে প্রতিবেশী মেঘ
তাদের দীঘল কাঁচুলি ভরে নিয়ে আসা মরসুমী হাওয়ায়
দুলে ওঠে তোমার ময়ূর পালক
তবু যেন এক অবিচ্ছেদ্য নূপুরের বোল
তোমায় টেনে নিয়ে যায়
কবেকার সেই বকুলের ছায়ায়,তিরিতিরি নদীর পাড়
৪)
এ কৃষ্ণ নাম অবিরাম , শাশ্বত,পরিণামহীন
যে নামের এত প্রেম সেই নাম শুনে আলুথালু
রাই অঝোরে কাঁদে
অভিসার না জেনে মাথুর কপালে লিখে পদাবলী গায়।
আর তখনই তমালবনে ঝিরিঝিরি হাওয়া দেয় মিলনের
সন্ধ্যার অলৌকিক আলোয়
মাধবের শ্রী মুখে চেয়ে বিরহি চকোর জ্যোৎস্নায় কণ্ঠ ভেজায়।
চার নং কবিতা বাদ দিয়ে আর সবগুলো বেশ সুপাঠ্য হয়েছে।
ReplyDeleteএমন স্বরতিভ মন্তব্যে সত্যিই খুশি হলাম 😊🙏🏻 ধন্যবাদ ও ভালোবাসা একরাশ ❤️
Delete