প্রেম বোবা ফ্রেম
বুকের মধ্যে টেথিস পুষি,মনটা হিমালয়
ভাসলে গঙ্গা কান্না জলে চোখ কী দেবালয়?
পদ্ম পাতা সময় ধরে,তিমিঙ্গিলে প্রেম
কাফন ঢাকা নসিব-শব আর বোবার মতো ফ্রেম।
তোমার কাছে সবই সোজা,ভোলাও সহজ কাজ
কাল যা ছিলো আদর-ভেজা,শুকনো নদী আজ।
আঁজল ভরা আতর ছিলো,মেঘলা অনুরাগও
সবই ছিলো বসন্ত আর আবীর-গুলাল-ফাগ-ও।
টোলের উপর ঝোঁকও ছিলো,হাসতো গোটা চাঁদ
সময়! নাকি কপাল দোষে সবই এখন বাদ!
কম্পাসে ভুল,দিক-নিশানায় গলদ ছিলোও বেশ
ভিড়লো জাহাজ রুমাল-জেজা মনখারাপের দেশ।
আদর মাখা তুলতুলে মুখ,পাঙখুড়ি-চোখ,তিল
পথহারানো নাবিক অবাক,নাস্তানাবুদ দিল।
সাম্পানে ফের লাগলো নাচন,মাস্তুলে ঠিক পাল
আকাশ-কুসুম উড়াল দিলো,সেটাই হলো কাল!
বাস্তবে যা বড্ড অমিল,মিল খুঁজে নেয় প্রেম
একটা হোঁচট,ধাক্কা খেলেই প্রেম হয়ে যায় ফ্রেম||
জাতহীন মাংস
চাকার মতো গড়িয়ে চলেছে বিষময় তঞ্চকতা
ইতিউতি তাকিয়ে ওরা খপ করে
ধরে ফেলে স্বভাবের দুর্বলতা।
ওরা জানে ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না।
কাকেরও যে দুর্বলতা আছে!
সেকথা জেনেও দুর্বলতাকে চোখ বুজে
ওরা ঢেকে ফেলে কালো ডানায়।
ওদের বিবেকের আয়নাটা কেউ যেন
উল্টো পিঠ করে ঘুরিয়ে রেখেছে।
এখানে আলোর মতো সত্যির প্রতিফলন?
সে তো আয়নারও মিথ্যে আস্ফালন!
কাঁদালে যে কাঁদতেও হয় সে কথা তো
নিউটনও মেনেছিলো।
কাক হও কিংবা কাকের মালিক
জেনে রেখো, খিদে পেলেও কাক কিন্তু
কাকের মাংস ছুঁয়েও দেখে না
অথচ মালিকের খিদের কাছে মাংসের
কোনো জাত বিচার নেই||
কে জাগে?
রাত বাড়ে
ধীরে ধীরে 'সাপের পাঁচ পা'
বার করে বেরিয়ে আসে আবেগ।
রাত চুপ করে ষড়যন্ত্রের গন্ধ নিতে থাকে।
ভালোবাসার কথায় কথা বেড়ে যায়
বাড়তে থাকে কথাদের ক্রিশক্রশ খেলা।
স্বপ্নরা পুড়ে গিয়ে বলে-
"খেলা থামাও! খেলা থামাও!"
কোথাও গিয়ে হুদহুদ স্বরে
মনের ভেতর থেকে উঠে আসে-
" সর্বেসাম স্বস্তির ভবতু,
সর্বেসাম শান্তিঃ ভবতু"।
ঘর হেসে হেসে সন্ন্যাসী হতে চায়।
রাতে ঘুম আসা ভালো
নইলে ডোপামিন অট্টহাসি হেসে বলবে-
"ঘরে কে জাগে!?"
No comments:
Post a Comment