বাসন্তিকা হাসে না
সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রশ্রয় পেয়েছে বাসন্তিকা চাঁদ
নির্লজ্জতার আধিক্যে স্নিগ্ধতায় নামে কলঙ্ক
শৈশবে পদস্খলন ।
আরণ্যক পৃথিবীর কানে বাজে
আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা -
শার্দূলের আঁশটে জিভ দখল করে
সরব বোহেমিয়ান রক্ত ।
অরাজকতার ভিতে গ্রথিত সমাজে
বাসন্তিকা হাসে না ।
ভয় পায় অমাবস্যার যৌবনা -
শিশু ঘুমালে বর্গী কাড়ে
কপালের ঘুমন্ত টিপ
অরণ্যের বুক চিড়ে দামামা বাজে -
ওরা কারা !
নাম না জানা অশনির ধ্বনি
পাপের দায়ভার ওদের মাথায়
সমাজের নীতি খাতায় নরখাদক
দুর্ভাগ্য , বাসন্তিকা হাসে না ।
আর্তনাদ
পোড়া দিনের মূল ফটকে সুখ দিল উলুধ্বনি
আমি আমার মসনদে ...
চিন্তা নেই কো আমার
সুখ এসেছে আমার প্রাসাদে -
ঘোড়া আমার , লাগাম আমার
মন ছুটল সে রজনীতে
সওয়ার হওয়া কি মুখের কথা !
মুখ থুবড়ে চোখ রাখলাম
সবুজ আলাপী ঘাসের দিকে
ঘোড়া বেশ নির্বিকারে ; কচি ঘাস আস্বাদনে -
টের পেলাম রক্ত ঝরছে
আমার কলজে ফেটে -
ঘোড়া তখনও নির্বিকারে …
মন ঝাঁকিয়ে ঝাঁকা মাথায়
কে যে আমার সঙ্গ নিল তা বুঝিনে …
পিছন হতে চিকণ সুরে হাঁক পাড়লে
সুখ কিনলে ? সুখ ?
অন্ধকারে বেশ চিনেছি আর একটা আমি
দাঁড়িয়ে আছি ব্যঙ্গ আস্যে -
সুখ চাই না ; সুখ ?
জৈবিক লালসা
বহু জন্ম ধরে প্রতীক্ষায় বাস
নিরলস প্রচেষ্টায় এগোল মুহূর্তরা
ক্ষুধার বাসনায় জর্জরিত জৈবিক দেহে
অপর জীবের বাস --
ক্রোমোজোমের সাক্ষাৎ হয় রসায়নের বিন্যাসে
আলাপে এগোয় আলাপচারিতা ।
খিদে ছোটে কামের কাছে
সর্বকালীন ও সর্বজনীন প্রবৃত্তিতে ওঠে জোয়ার -
ষড়রিপুর অবস্থানে বাসা বাঁধে জৈবিক প্রক্রিয়া ,
দুঃখ-শোকের আশ্রয় ছেড়ে
গুটিপোকা ওঠে জেগে ।
জারিত রসে কামার্ত আশ্রয়ে
বিলীন হয় দেহ , চাহিদারা ...
এক কোণে পড়ে আছে
নিঃসহায় কুঁকড়ে থাকা
বাজা মন ; তবু ,
জৈবিক লালসা রূপ নেয়
নিষিদ্ধ প্রেমে …
কালজয়ী ভুমিকায় অবতীর্ণ হয় ‘পরকীয়া’
No comments:
Post a Comment