পাথরপ্রতিমা
মোহময় বিষ্ণুপুর। অতল জলকে ভাঙা ওই গুপ্ত বৃন্দাবন। কুচি কুচি বরফের লীনতাপ পাহাড়ের দুর্গমকে অতিক্রম করি।
শরীরের সুতোটুকু একটানে খুলে ফেলি; বরফ জলের উন্মাদনায় সমুদ্রশিহর জাগে। তপ্তপানির কষ্টিপাথরে নিজেকে যাচাই করি; অন্ধকার পথে কুলকিনারা হারায় মেধাবী বাউলের একতারা।
শাদাপাথরের প্রতিমাকে কালোজলে ডুবে যেতে দেখি।
কথানদী
ঝুরঝুরে মাটিভরা দুটি লাল বালতি তিনটি রঙের কৌটোর ভেতর পাঁচটি দোপাটির চারা। এক হাতে বসিয়েছ। আমি জল দেব। লক ডাউনের দুঃসময়। মন ভালো করা ফুল ফোটার অপেক্ষা। আত্মভোলা এক পথিকের তারাফুল।
শূককীট প্রজাপতি হলে নীলগ্রহের সমস্ত অসুখ কামরাঙা প্রতিমার অবসাদ মুছে যায়। পড়শির ফলের বাগান থেকে হরবোলা পাখি ওই সুদূর আকাশে ওড়ে। ক্ষুধাতৃষ্ণা নিবারণ শেষে এই মায়াগোধূলির বাসা। জলঙ্গীর ফিসফিস কথা অন্যমনস্ক বাতাস লং ড্রাইভের নেশা ধরায়...
সামান্য জলের নিরিখে
অগাধ জলের নিরিখে বীরুৎ জাতীয় তোমাকে সামান্য মনে হয়। কালবৈশাখীর ফলভারে নত সাজানো বাগান ফুলের আগুনে দগ্ধ প্রজাপতি আসে। উপোসী নদীর শরীরে জোয়ারের ঢেউ।
ভ্রমরের গানে কালোরঙের উচ্ছ্বাস জ্যোৎস্নার মাতামাতি। ঘুমের ভেতর দীর্ঘ রমণের ছলাকলা অনুরাধা নক্ষত্রের খুনসুটি হিমশীতল তোমাকে নাচায়। সামান্য জলের নিরিখে ছলনাময় পথের ধারে বীরুৎ জাতীয় তোমাকে অসামান্য মনে হয়।
No comments:
Post a Comment