দোঁহা
২৯৪
ঘাটের নৌকা যাত্রী বোঝাই ঘাটেই থাকে বাঁধা
ছায়ার পিছেই ঘুরছে মানুষ-- কায়াতে সর্বদা।
২৯৫
দেবীর ভজন শেষ হবে না, ফেরৎ নিলে অদেখা ওই মুখ,
বাতাসে টিপ পরিয়ে দিতে সারাবেলা, পূজারি উন্মুখ।
২৯৬
যার আরতি সঙ্গি করে উৎলে ওঠে দিগন্ত-দূর পথ
সে যে এখন ফুলের ভেতর ভুল ছিঁটিয়ে টানছে মনো-রথ।
২৯৭
অগ্নিপাঠের শপথ নিলাম-- তুষের সজ্জা দৃষ্টিতে
আমি যে তার মনের পাগল; ভিজিয়া প্রেম বৃষ্টিতে।
২৯৮
আগুন আমার নিত্য সখা প্রজ্জ্বলনের পাখি
দেহ-মনে নিলাম বেঁধে দগ্ধ-জলের রাখি।
২৯৯
নরকে যার শয্যা পাতা তার কি আছে অগ্নি পোড়ার ভীতি?
জনম যে তার কেটেই যাবে দেখতে দেখতে সীতার সিঁদুর-সিঁথি।
৩০০
অকাল বর্ষণে বৃক্ষ-জাগে, কে শুনিবে এই অবেলার ডাক
সাঁঝের বেলার দুঃখগুলো একলা-নিরব; আমার কাছেই থাক।
৩০১
সুরার বাটিতে ক্লান্ত আল্জীবের জলগন্ধী চুমু
প্রার্থনায় নগ্ন হলে,
আমাকে জাগালো কে, সে! চোখমগ্ন কুয়াশার রঙ
স্পর্শ করার ছলে।
৩০২
তিনি করলে পুণ্যে ভরা, আমার বেলায় শূন্য এবং পাপ
ও বালিকা, রঙধনুটা দাও না ছুঁতে, দূরের মেঘে তাপ।
ধন্যবাদ প্রিয় সম্পাদক যত্ন করে দোঁহাগুলো প্রকাশ করার জন্য।
ReplyDeleteভালোবাসা থাকলো।