জ্যোৎস্নাপিঠ
কারণ, বৃত্তে একটা দাঁড়ি আসতে পারে।
কারণ, উঠোন পেরিয়ে ঠাণ্ডা মন্ত্র
পৌঁছতে পারে মাস্তুল খুঁজে নেবার রাস্তায় –
যে কয়েকটা নদী আর চাঁদ
দৌড়ে গেল অনেকটা পথ
আমাকে পিছনে ফেলে,
তারা সবাই শিশুর হাত; জঠরে কবরস্থ।
এসব আর ভাবায় না --
কারণ, এখন ঘাসের ওপর হাঁটতে হাঁটতে
টুকরো ছড়িয়ে যাচ্ছি নোনতা রোদে –
কারণ, একটা বুনো আনন্দ শরীরে নিয়ে
আমি রোজ পেরিয়ে যাচ্ছি একটা একটা লবঙ্গের জঙ্গল …
চন্দন নয়,
লবণ কিম্বা ,
পাপ-পুণ্য বানানো হয় যা দিয়ে
সেসব কিছুই নয়।
কেউ লাইটার ধরালো।
চামড়া, জিভ পুড়ছে –
আলতো কামড়ের দাঁত অক্ষম হচ্ছে রোজ --
নৃশংস আলো মণিতে ঠিকরে
ফিরে আসছে
বারান্দায় মোমবাতি হয়ে।
কেউ বলল, লিখে ফেলো
ক্ষত সুন্দর হয় অক্ষরজন্মে;
নয়তো মিক্সিতে গুঁড়ো করে
মিহি ছড়িয়ে দাও সেতু,
যমজ গ্রহে, কাগতাড়ুুয়ায় –
চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয়
উৎসব হোক আবার!
ধর্ম,
যৌনতা,
জ্যোৎস্নায় চরতে আসা ম্যাজিক –
কবিতার বিষয় নয় কিছুই।
এসব ভেবে এখন --
বুভুক্ষু পাতায়
আলাদা আলাদা খুঁজে যাই
নারী
পুরুষ
মিথ্যে
পাখি
মেঘশহর
গুঁড়ো গুঁড়ো গুঁড়ো দৈত্যনিঃশ্বাস…
আনন্দঘর
আলোয় দেখছি কোণ ঠেসে রাখা সীলমোহর
আর যত কিছু বৈধ তলব, সাবধানী
গিঁট বেঁধে রাখা অস্ত-রঙের আবডালে
দারুণ সেজেছ! যত্নে এবার পথভুলে
স্বেদ জমে জমে পুন্যের লোভে ধুপদানি,
ভালো লাগে দাগ, জাপটিয়ে ধরে চারপ্রহর –
খুঁজেই যাচ্ছ সারি সারি দ্বীপ, মহলান্তর
শ্বাস জমে আছে করুণ সুখের কুঠরিতে
অপেক্ষা সেও -- আনন্দ কত, চমকানো মেঘ
ভুলে যাওয়া আলো, কাচের তালুর তরল দু পেগ
ছুঁয়ে ছুঁয়ে এসো, দোয়াত ছোপানো মুখটিতে –
খোলা আছে দ্যাখো, দরজা ওখানে, আনন্দঘর …
ananya kabita.upalabdhir
ReplyDeletekabita