তসব্বুর
যতক্ষণ জলের নিচে; নুড়িপাথরের অনিঃশেষ অন্তরঙ্গতা।
রাতদিন স্রোতে অজস্র কথাকলির কত না এতোলবেতোল
প্রাণবন্ত মুদ্রা। কিন্তু বিয়াসের জেগে ওঠা চরে ওদের
শুকনো অবয়বে মেলানকলির আলুথালু ছবি স্পষ্ট
দেখেছি। যেন বুকের ছলাৎ'এ ছড়িয়ে ছিটিয়ে শত ভিড়েও
একাকীত্বের শবসাধনা। অভাগার সংসারে সময় কী
এমনই থমকে থাকা প্রবাহ? ইচ্ছেরা এমনই ছোটবড়
স্মৃতির ফসিল? তখনও তো দুধের সসপ্যানে সরের মেঘ
জমেনি। তবু উতল হাওয়ায় চোখে ভিসুভিয়াসের লাভার
তাপ। চলকে ওঠে জলের উদগীরণ। মনের বোধহয় বড়
জ্বর গো। অথচ ৯৮.৬ এ থার্মোমিটার নির্বাক। আয় বৃষ্টি
ঝেঁপে অশ্রুফুলের মতির মালায় আকণ্ঠ সুমতি। লহরীর
পরে লহরী ওগো বর্ষামঞ্জরি ছুঁয়ে দাও তপ্ত ললাট। অহল্যা
নুড়ি পাথরের এই পম্পেই নগরী আবার প্রাণ ফিরে পাক...
No comments:
Post a Comment