রংটোনা গ্রাম
গ্রামের জীবন এখনও অনেক সহজ।কাঁচা শালপাতায় গরম তেলেভাজা মুড়ে দেয় দোকানি।কত সহজ মানুষজন।কোনো আড়ম্বর নেই।শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ।মনে হয় ,চলে এসেছি পৃথিবীর অন্য কোনো গোলার্ধে।ছুটি পেলেই শৌর্য চলে আসে এই রংটোনা গ্রামে। প্রাণ ভরে অক্সিজেন নেয়।মেঠোপথ ধরে ঘুরে বেড়ায় এধার -ওধার।খবর পেলেই আয়না মাসি ছুটে আসে।
দেশভাগের সময় দাদু চলে আসে এদেশে।কলকাতায় বসবাস শুরু করে।কিন্তু শহরের কোলাহল ভালো লাগে না তার।তখন অনেক দেখে শুনে এই গ্রামের বাড়িটা কেনে। লোকালয় ছেড়ে মাঝে মাঝেই দাদু চলে আসতেন। ছুটি থাকলে শৌর্যও তার সঙ্গী হত।
রিনিতা কিছুতেই আসতে চায় না।জোর করলে প্রশ্ন করে " কি আছে ওখানে?"শৌর্য আজও বোঝাতে পারে নি!হয়তো কোনোদিনও পারবে ও না! মায়ের পছন্দ হয়েছিল রিনিতাকে।সবাই বলবে "ও মা! কি সুন্দর বউ এনেছো!কিন্তু দিনে দিনে শৌর্য বুঝেছে রিনিতার ভিতর নেই।আদর্শগত কোনো চিন্তা ভাবনাও নেই।গভীরতাহীন সঙ্গী যে কত বীভৎস হতে পারে!
চারদিক নিঝুম হয়ে আছে। ধীরে ধীরে কৃষ্ণচূড়া গাছটার কাছে এসে দাঁড়ায় সে। মনে পড়ে সুমিতার কথা।দাদুর প্রিয় ছাত্রী ছিল ও।প্রায়ই আসত দাদুর কাছে।বড় উচ্ছল ছিল।ওকে কত লুকিয়ে লুকিয়ে দেখত সে। কোনোদিন বলা -ই হয়নি ! তবে এই গ্রামে আসার নাকি প্রবল ইচ্ছা ছিল ওর।দাদুই একদিন হাসতে হাসতে বলেছিল সে কথা।দাদু ওর মনের ভিতরটা অনুভব করেছিল কিনা কে জানে!এসব মনে হতেই শৌর্যর চোখ দুটি ছল ছল করে ওঠে।
ভালো লাগল।
ReplyDelete