নীলাব্জ চক্রবর্তী-র কবিতা
ব্রেক
এই যে স্মৃতি বেয়ে
একটা কাঁচের ক্যালেন্ডার জুড়ে নিচ্ছ
গায়ের ওপর
ফাঁপা পাথরের ওপর
যে আহ্বান
স্পষ্ট হচ্ছে
অভ্যাস অর্থাৎ
রক্তের ভেতর-বাইরে যে ঋতু পড়ে গেল
খুব হল
এই কাগজে কাগজ ঘষে ঘষে
একটা স্থায়ী রক্তপাত
ব্রেক নিল
আর
নীল করল কেমন মুঠো করল…
দৃশ্য থেকে পড়ে যাওয়া ভাষা
একটা হাত-ফসকে-যাওয়া দৃশ্য
লাল হচ্ছে
নীল
জানলার বাইরেও জানলা
ছায়া পড়ছে
গাছ
পড়ছে
স্মৃতি তো একটা আঙুল অবধি নীরবতা
নীরবতা
আসলে
ব্লা ব্লা
কাট
একটা বিস্বাদ লংশট
পার হতে হতে
ভাষার এপার-ওপার দেখা যাচ্ছে না আর...
একটা অনভ্যাসের কবিতা হয়ে
সেফ খেলছে
ডামি দিচ্ছে পুরনো দিনের শো
বেদনা
সুর
উত্তর
কাঁচির এপারে ওপারে থাকা দীর্ঘ শব্দমালা
ফলো করতে করতে একটা অনভ্যাস
নির্বাচন করছে
অস্থির সাম্যের মতো ধাতব স্মৃতির গন্ধ
জল হয়ে জলের কাছে
তিনভাগ কবিতার কাছে
রূপ অর্থে ঘন হয়ে
পাথর-অমনিবাসে গুঁড়ো গুঁড়ো সম্পর্ক লেগেছে
জানলা নম্বর দুই বরাবর
তোমার আমার ঠিক মাঝখান দিয়ে...
যথেষ্ট ফ্রেম
বিষয় একটি সহজ অভ্যাস হয়ে
গাণিতিক হয়ে
অপশন রাখছে
অথবা ধরুন
একটা ফাঁপা পিকচারাইজেশনের ভেতর
আপনি মিটিমিটি বসে আছেন
আর
গানটা পিছলেই যাচ্ছে
দশকের পর দশক
একটাই যথেষ্ট ফ্রেম
ফটোজেনিক হয়ে উঠবে কি উঠবে না
ধানচিত্রের কথা ভাবতে ভাবতে
নয়া নগর ফুরিয়ে এলে
স্প্রিন্ট টানতে টানতে রীল কাটার শব্দ
ছুঁড়ে দিচ্ছেন কার দিকে...
ভাষা অর্থে একটা ফোটোজেনিক অভ্যাসের কথা
আলোর জন্য শুরুয়াৎ অর্থে একটা গভীর ধাতুর কথা। রূপের কথা। কৃৎ ও তদ্ধিত। ডেরিভেটিভের কথা ভাবব না সুপারইম্পোজিশনের? অথচ দেখতে পাচ্ছি ভাঙা ভাঙা একটা দিনের ভেতর বসে স্মৃতি অনুবাদ হচ্ছে। বাদ হচ্ছে। স্তননে কার ছায়া মন করছে। ওম। খুঁড়ে খুঁড়ে। গ্লোরিফাই করছে। ফেনায় ফেনা ঘষতে ঘষতে খুব একটা সাধনার কথা। এনে দে এনে দে ঝুমকা-র কথা। ফোটোজেনিক মানে একটা অভ্যাস। পিছলে যাচ্ছে। দর্পণ অবধি যে স্বেদ যে ঘ্রাণ বারুদ অবধি। ব্যাকফায়ার। এই ঋতু। ক্যাম্পে ক্যাম্পে ভাষা এক শ্রম হয়ে নির্মিত পূর্ণচ্ছেদ হয়ে চলমান...
No comments:
Post a Comment