শ্রম ও জাদুপথ || সৌরভ বর্ধন
১.
অনেক লেখারা আছে
নিশ্চুপ বাষ্পের ছায়াপথ
অনেক জাদুরা আছে
সশব্দ শাসকের ছায়াঘর
ফলত হরিণের পানীয় যেমন জল
বাঘিনীও জলের অভাবে ঘর ছাড়ে
২.
নিজেকে পিশাচ ভাবছি তাই
আর সুখকষ্টে
হারিয়ে যাচ্ছে আরামপ্রদ গাছেরা
দূরে দূরে
নির্বাক স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে
দৃষ্টিহীন পাথর
সহসা দাঁতে কিড়মিড় করে ওঠে
খেলা করে অন্ত্যেষ্টি রাতের গানে
ক্রীড়নক পুতুল সকল
৩.
কথায় এতো যন্ত্রণা
মাথা খাবার হয়ে আসে
আমাদের খাদক ও শাসক
ঘরে ঢোকে শেষ রাতে
যখন কোকিল ও তার ছানা
পচে গেছে, খসে গেছে ছাল ও চামড়া
পূণ্য প্রভাতে!
৪.
বুকের ভেতরে হাত রাখলাম
আর গড়িয়ে নামলো জল
জল নামছে হিংস্র
হাত রাখি, আর কণ্ঠনালী
গড়িয়ে পড়ছে পুষ্টি
মুখরিত পথ, সত্যিকারের
পাথরও হেঁটে যাচ্ছে
৫.
তেষ্টায় শুকিয়ে যায় ব্যথা
ব্যথারই যত আলো
গর্জে উঠছে প্রতি-ডাকে
রাত বাড়ছে, অনেক অনেক
উড়ছে সারা অন্ধকারে ----
অন্ধকারের কালো
আজ সম্মুখে, আজ সমস্বরে
৬.
স্বপ্নের বিস্ফোরণ
ঘটে গেছে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নাচে
আড়মোড়া ভাঙা হাঁ-য়ে
সেঁধিয়ে যাওয়া স্বপ্নের জাদু
ঘাঁপটে আছে অনন্তকাল
পরিখাশূন্য ------
ওকে একটু জল দাও
করো প্রথম আঘাতেই হা-হতোস্মি
৭.
শব্দ, আরও শব্দ দাও
ভাব, তীব্র ভাব এনে দাও
দৃশ্য গঠনের একটা চিত্র
আমি অবিকল ধরতে চাই গর্জনে
যেভাবে অর্জন করে মেয়েরা
শ্রমের খাবার, পরিশ্রমের দিনলিপি
আর অবগাহন রাত দখলে
৮.
ঘুম আর ফুরোয় না
ঘুমের ঠোক্কর খেয়ে শুকিয়ে যায় চোখ
আমাদের যাত্রাপথ লীলার দিকে
যেদিকে জেগে থাকে দশমিক
যেদিকে সব পথ সমসত্ত্ব দ্রবণে
৯.
রাত আসে
আর ফুরিয়ে যায় ক্ষতিপূরণ
জেগে থাকা চোখের দিকে তাকালে
বিস্তৃত মণি আরও সাদা
জ্ঞানগর্ভ হয়ে যায়
তোমাদের হাতে ছেড়ে দিই তাকে
রাতের দখল
ফণা তোলে স্বাধীনতায়, আঘাতে
১০.
আমাদের শ্রমের ভিতর
কারা যেন গুজব ছড়ায়
কারা যেন শীতল কল্পনা দিয়ে ছুরি আঁকে
----- অস্ত্রের ভেতরে কোনো খাদ্য নেই!
যেসব খাদককে আমরা মুখ ভাবি
তাদেরও নিবিড় নিবিড়তর ভুখ এখন
যেন অকস্মাৎ রৌদ্রে ধাঁধিয়ে গেছে চিল
No comments:
Post a Comment