মধ্যযুগিয় পিরিতি
পারিনা এড়াতে আড়ালে গলিতে কানা-ঘুষা চলে,মরি লাজে ওহ সুখযন্ত্রনা সহি নীরবে নিরবে।তবুও করি যাপন দুঃখবিলাশ, কলিজায় নিয়াছ ঠাঁই। মধুর বসন্ত বহিছে তোমার আঙ্গিনায়,বসন্ত জলে জ্বলি অনঙ্গ অঙ্গে। তিলে তিলে অনুভবে অংগার হতে কতদেরি? ওগো রাণী বাসন্তি,আ হা এমোনি অমন আনমনা হেয়ালি কর হে মধুরিমা জপমালা গুননে অঙ্গুরি অনিমাতে চাট হতে হতে পাথর হলো, নখ হলো ছুরি। নিজ নিজ আঁচড়ে করি অঙ্গহত, শুধু তোমার জন্য পরান পিয়াসি। লাজ্ব ফেলে বংশলতিকা ছিড়ে, অন্দর বন্দরে ঘুরে ঘুরে এসেছি গো তোমারি দুয়ারে। তুলে নাও পরমপিয়াসে। আমি গো তোমি বিহনে জ্বলি।
খোশরোজ মহল
তেমন কেউ আসেনা এখন এ বসন্ত তলে
তবুও সৌরভ কমেনা বসন্ত বৃক্ষের, পুষ্প বাহারে মুখরিত পথঘাট
সুরভিত পুষ্পমঞ্জরির ঘ্রাণে কেউ কেউ আসে পরম ভালোবাসার টানে
বনফুলের মৌতাতে মনফুল রাঙাতে, তরুণীর কুন্তল সাঁজাতে আসে
ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষ সচলরয় মৌ মৌ খুশবো সমারোহে
আজকাল
বাসন্তীর বসন্তবাউরিতে উন্নয়নের চাপে জলবায়ু পরিবর্তনে
বিশ্বায়নের বিশ্ববাজারে গোলকায়নের ভার্সুয়াল আগ্রাসনে
মমতাজ মাজারে
ভাটার টান,মনমরা আহবান ঋতুরীতির অস্বাভাবিক আচরণে
তারা সান্ধ্য মজমার কাওয়ালী আসরে, সুফির শায়েরিতে
ইসকে আশেকীরাও আসেনা, সুফিয়ানায় সুফিরা কবিরের ভজনে মজেনা
খোশরোজ মহলে নওরোজের গোলাপ ফুটে আশায় আশায়।