মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ১-ম বর্ষ , ২৮৪-তম প্রয়াস
ফেরা তনিমা হাজরা
দ্বারকেশ্বর নদীর বুকে বালি খুঁড়ছে
একটা মেয়ে,
দুই বিনুনি, লেসের ফ্রকে মুখটা ভীষণ
চেনা চেনা,
এখন পাড়ায় করলে তালাশ,
বলবে সবাই, কেউ চেনে না।
ওই যে থোকা থোকা বোগেনভিলার রক্তরঙে ছেয়ে থাকা
বাংলো বাড়ি,
মাধবীলতার ঝাড় নেমেছে
সদর দোরে আড়াআড়ি,
কপিকলে বালতি গড়ায় সারা দুপুর কুঁয়োর বুকে,
কুঁয়ো তখন একটাই তো এপাড়াতে,
তাই জল নিয়ে যায় যত লোকে।
তাদের বাড়ির মেয়েই তো সে,
কোঁকড়া চুলে দীঘল চোখ,
এখন খাঁ খাঁ নদীর জলছাড়া বুক, দলছাড়া সে একলা লোক।
মা বাপও তো ইন্তেকালে,
দলছুট সেই বেখেয়ালে
হঠাৎ কি ইতিহাস খুঁড়তে এলো,
কুয়াশঘেরা ভোরবেলাতে,
ভোর কোথা রে, রাত্তির বেশ,
পোষের শুরু, আঘাণ শেষ।
ও মেয়ে তুই যেন এক শুকনো পাতা,
যেন কেমন ঝড়ঝুঁকি,
হাতে ওটা কি বলতো, নদীর বুকে খুঁড়িসটা কি?
এ তল্লাটে কৈ দেখিনি, কাদের বাড়ি, কি নাম তোর?
খুঁজতে এলাম ফুরিয়ে যাওয়া,হারিয়ে যাওয়া সেই কৈশোর।।
নাম জেনে কি লাভ তোমাদের, পৌষে জন্ম, তুসু'ই ডাকো,
মকরদিনে গাঁদাফুলের মধ্যিখানে মাটির পিদিম জ্বেলে রাখো।
তুসু'রা আর যায়না ভাসান, জীবন বাইছে শপথ নিয়ে,
তাই, শুখাগাঙের বালুর ঠিক্যান জল খুঁড়ছি আমার বুকের অস্থি দিয়ে।।
No comments:
Post a Comment