প্রচ্ছদ : অভিজিৎ দাস কর্মকার
***********************
প্রচ্ছদ : অভিজিৎ দাস কর্মকার
***********************
পাতার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে যে সুখ
সংযমে ও উপশমে : দেবলীনা চক্রবর্তী
অণুগল্প
শ্রেণীগত চরিত্রটা আগেই ব্যক্তিগত হয়েছিল ফণি হেমব্রমের কাছে। রাত হাঁটে; গতি নেয় চাঁদের খিদে। প্রশাসনহীন যজ্ঞকুণ্ডে ফণি ক্ষুধার্ত হয়। কালো চামড়ায় স্যাণ্ডো গেঞ্জি পরলেও লোমশ পুরুষ হোতে পারে না। শরীরের গন্ধ নেয় আদিম পুং সভ্যতা,সুক্ষ্ম উপশিরাগুলো পর্যন্ত স্ক্যানিং করে বাবু সম্প্রদায়। তৃপ্তি শেষে তারা পুতুলনাচ বাবদ টাকা পঞ্চাশেক গোঁজে অনুর্বর ভাঁজে,তবু ফণির ক্লান্ত চিৎকারে ক্লিভেজ স্পষ্ট। বাহা উৎসবে আবিষ্কারক চরিত্রটা নিজেকে পুরুষ বলেছিল সাতগুরুমের জলে। তখন নোনতা লাগেনি, এখন লাগে। চাঁদ নিভলে কান্নায় ভাসে অন্তর্বিবাহিত গোষ্ঠীর ফুলটুসি হেমব্রম।
চাঁদের পরে : সৃশর্মিষ্ঠা
উপত্যকা : নবনীতা ভট্টাচার্য
খনির যে দেশটা তুমি আমাকে দিতে চাও, ওটা আসলে আমার না।
আমার রক্তে রয়েছে পলিমাটির উর্বরতা, ফসলের ঘ্রাণ।
কি করে নিজেকে ছিঁড়ে ফেলি বলো?
ফসলের ঘ্রাণ মেঘে এলিয়ে পরা তীব্র দুপুর বটগাছের শীতল ছায়া মেখে খেলেছিল একদিন...
আজ খেলা নেই। আমি আছি আর আমার সাথে বহন করছি ফসলের তীব্রতা পলিমাটির সোঁদা গন্ধ।
আমার রক্তের ভেতর তীব্র আঘ্রাণ,
কালের চুম্বন। বৃষ্টির সুরায় সোঁদা মাটির গন্ধ।
খনিজসম্পদ ঢেলে সাজালেও খনি অঞ্চলে আমি বন্ধ্যা শুকনো,
খনিজ ফসল আমার জন্য নয়।
আমি যে পলিমাটি তীব্র উর্বর।
দহন শেষে একটু বৃষ্টিতেই গলে জল হয়ে যাই।
নদী : সোমা দাস
তুমি নদী বলে ডাকো
আমি ভেসে থাকি
যখন কবিতায় নদী দেখো
আমি ডুবতে থাকি!
আমার পাড়ায় এসে
আড়ালে আড়ালে ই থাকো
মাঝে মাঝে তুমি
নদী বলে ডাকো!
যোজন দূরত্ব মেপে চলো
আমি আলোর গতিবেগ মাপি
কবিতায় নদী দেখো তুমি
আমি আঁকি নদীর ছবি।
অণুগল্প
সময় : তরুণ আঁকড়ে
সময় বড় একলা চলে সঙ্গে নেয়না কাউকেই সে