Friday, 14 April 2023

পয়লা বৈশাখ সংখ্যা | ১৪৩০, অনসূয়া চন্দ্র

 


অণুগল্প

ডাক : অনসূয়া চন্দ্র 



 এই এক হয়েছে স্বপ্ন!দেখার আগে যতটা উৎসাহ দেখার পর ততটাই বিষণ্ণতা।স্বপ্ন ,স্বপ্নই হয়,সত্যি হয়না জেনেও বাসি মুখে চোখে জল চলে এল মেঘার।চলে যাওয়ার চেয়ে আরেকটু না থাকার দুঃখ বেশি।স্বপ্নই তো, ভাঙল কেন? আরেকটু পরে ঘুম ভাঙলে কী ক্ষতি হত! এসব সাত-পাঁচে অদৃষ্টকে দুষতে লাগল সে।
         জানলার দিকে মুখ ফেরাতেই দেওয়ালে সাঁটা দিনের টু ডু লিস্ট চোখে পড়ল। মাথায় বজ্রাঘাত।আর ১ঘন্টার মধ্যে রেডি হয়ে তাকে বেরোতে হবে। ইন্টারভিউ বলে কথা,সদ্য চাকরি হারানো মানুষের কাছে এ যে কত দামী ,তা বলার নয়।
         এমনদিনে নিজেকে টেনে তুলতে হতনা এই বছর খানেক আগেও। একটা ফোন ঠিক আসত। ঘুম চোখে বালিশ হাতড়ে হাতড়ে ফোনটা কানে নিতেই..
         হুঁ বলো।
      উঠেছিস?
         হুঁ
     উঠে পড়।ব্রাশ করে একটা ভালো করে চা কর।স্নান করে যাবি।
         হুঁ
    এই এত হুঁ হুঁ কীসের রে! ওঠ্ বলছি।
         উঠেছি তো।
  সব ভালো হবে।যা পড়েছিস ওতেই হবে।
         কিন্তু, তুমি চলোনা প্লিজ
   ধুর্ পাগল,আছি তো। এখন রাখলাম।রেডি হয়ে নে।
          
        দেবতারা অমৃত লাভ করেও হয়ত এতটা চার্জড আপ হতনা।ফোন রাখার পর মেঘা যতটা হত।সব কিছু পরিষ্কার, ঝকঝকে‌, সহজ।কেউ যেন কুট্ করে আশীর্বাদী ফুল হয়ে ওর পেন্সিল বক্সে ঢুকে গেছে। 
                    তেমনটা আর হয়না।
  এটা ভাবলেই ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে সে। খুব একা লাগে।এত ইন্টারভিউ,এত চাকরি,এত পরীক্ষা! কিচ্ছু পারবেনা সে, কিচ্ছু না। নিজেকে ঠেলতে হয় তবুও, সারাদিন, অপেক্ষাটা শেষে।যে কোনো রাতের জন্য নয়।ক্লান্তি শেষে, অক্লান্ত স্বপ্নে যেদিন কেউ ডেকে দেবে তেমন করে,আগের মত।
               




No comments:

Post a Comment