কোজাগরী সংখ্যা
অণুগল্প~সংঘমিত্রা রায়চৌধুরী
মাতৃপূজা
"উঁ উঁ উঁ শিবে সব্বাত্থ সাধিকে শরণ্যে তম্বকে গৌরী উঁঁ উঁঁ উঁঁ নমোস্তুতে... এবারে মাকে পোণাম করে যার যা মনের ইচ্ছা সব জানিয়ে দাও... আর হ্যাঁ, কেউ কিন্তুক ফুল ছুঁড়বে না, সব্বাই এই প্যাকেটে ফুল জমা করো, আর হ্যাঁ, কেউ কিন্তুক ফুলের সাতেই দক্ষিণেটাও ঐ প্যাকেটে দিও নি য্যানো। এই নাও, ধরো, এই প্যাকেটে দক্ষিণে দাও, এই এদিকে এদিকে..." এগারো বছরের বাবলুই এবারে বীরপুরের দুর্গাপুজো উৎরে দিলো। মন্ত্রে নয় ভক্তিতে, নিষ্ঠায়।
বাবলুর বাবা পুরোহিতগিরি বাদেও চারটি বাড়তি রোজগারের আশায় ট্রেনে ধূপকাঠি ফেরি করতো। লাইন পেরোতে গিয়ে ডাউন রাজধানীর তলায় পড়ে বাবলুর বাবাও ধোঁয়ায় মিশে গেলো... তাও হলো দেড়বছর। ভাগ্যিস নয় বছরেই বাবলুর পৈতেটা হয়েছিলো। তাইতো বীরপুরের পুজোটা এখন বাবলুই সেরে ফেলতে পারে। বাবলুর মা হাত পেতে সাহায্য নেবার মানুষ নয়। ভোগ রাঁধা থেকে শুরু করে মণ্ডপ পরিষ্কার... সবটাই একাহাতে সামলে নেয়। বীরপুরের মানুষও বাবলুর মায়ের মধ্যেই গণেশজননীকে খুঁজে নিয়েছে। মাতৃপূজার আসল উপচার যে ভক্তি
No comments:
Post a Comment