Friday, 30 April 2021

এপ্রিল সংখ্যা ≈প্রচ্ছদ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||





এপ্রিল সংখ্যা ≈উৎসর্গ -কবি শঙ্খ ঘোষ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

আমাদের এই সংখ্যা উৎসর্গ করা হলো কবি শঙ্খ ঘোষ-কে। 
একজন প্রকৃত সাহিত্য মানব। আমার সৌভাগ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে,মহবোধি সোসাইটির কবিতা পাক্ষিকের অনুষ্ঠানে। আপনাকে শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানালাম পত্রিকা এবং এই পত্রিকায় প্রকাশিত সমস্ত কবি এবং সকল সাহিত্য প্রেমী মানুষজনের তরফ থেকে। 



এপ্রিল সংখ্যা ≈সম্পাদকীয় নয় কিন্তু -অভিজিৎ দাসকর্মকার

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

সম্পাদকীয় নয় কিন্তু ____     অভিজিৎ দাসকর্মকার 


এই সংখ্যায় কিছু লেখা পরিস্থিতিভিত্তিক প্রকাশ করতে বাধ্য হলাম।কারণ লেখা আহ্বানে অনেকের মনের উপর যে যে পরিস্থিতি প্রকটরূপে জাঁকিয়ে বসেছে তিনি তার লেখাতেও ইচ্ছে হলেও সরিয়ে রাখতে পারেন নি।সত্যিই তো, পারা খুব মুসকিল। আমিও তাই বেরোতে চাইলাম না।

সকলের লেখার সাথে বিষ্ণুপুরের মন্দিরের ১টি করে ছবি দিয়েছি,যার অনেকগুলো নিজের তোলা, আবার কিছু গুগল দাদার কাছে নিয়েছি।

এই সংখ্যায় প্রচ্ছদ বানিয়েছেন কবি ও স্পর্শ পত্রিকার সম্পাদক নবকুমার শীল, বিষ্ণুপুর মড়ার ১নং ক্যাম্প সংলগ্ন ১টি গ্রামে থাকেন,ভালোবাসা কবি।











এপ্রিল সংখ্যা ≈ ২টি কবিতায়- মলয় রায়চৌধুরী

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

মলয় রায়চৌধুরী


তোমার তামাটে পা 


তোমার পায়ের দিকে চেয়ে থাকি, একদৃষ্টে সম্ভব নয় চেয়ে থাকা

কী বলে এই দৃশ্য ও অদৃশ্যের মাঝে দ্রুত ঝরোয়ার তামাটে গোড়ালিকে ?

পুরবীকল্যাণ, কামেশ্বরী, চারুকোষ, জনসন্মোহিনী আঙুলগুলোকে ?

পায়ের অবিস্মরণীয় স্মৃতিশক্তি আর কারোর দেখিনি কখনো

মনে হয় রেক্যুইয়েমের ইঙ্গিতবাহী তামাটে ঘনশ্যামা মন্দ্র সপ্তক

অথচ শব্দ নেই, বাতাসও নিথর, কেবল তোমার 

দুটি তামাটে পায়ের স্পর্শে পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরেই চলেছে


মায়া    (উৎসর্গ : যোগেন চৌধুরী)


স্তনে এতো মায়া তুমি কোথা থেকে আনো হে কৌশিক সরকার ?
কুচ জাগার আগে-পরে বা যখন তা মিষ্টির ফোয়ারা দুধের
আফ্রিকার কুচকুচে কালো বা জার্মানির ঢাউস গোলাপি
চিনা-ভিয়েতনামি-বার্মিজ-ক্যামবোডিয়া-থাইল্যাণ্ড পীতাভ
মার্কিনি রোদে পোড়া রক্তিমভ বা তামাটে ব্রাজিলি কিংবা
ভারতের নানান মাপের আর নানান ত্বকের স্তনে মায়া ভরো
রুবেন রসেটি বত্তিচেলি ইনগ্রেস রাফায়েল রবি ভর্মার আঁকা
মোলায়েম স্তনে যেরকম বেহেশতের জ্যোতিচ্ছটার প্রতিভাস
নারীর স্তনের চেয়ে মায়াময় আশ্রয় আর কোথাও নেই, তা সে
তুষারাচ্ছন্ন বা মরুবালুকার দেশ হোক, এতো মায়া এতো ?
স্তনে এতো মায়া তোমরা কোথা থেকে আনো হে কৌশিক সরকার !





এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-ফটিক চৌধুরী

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

কবিতা      ফটিক চৌধুরী


দিন ছুটে চলেছে রাত্রির দিকে
গ্রাম ছুটে চলেছে শহরে
নদী ছুটে চলেছে মোহনায়
শুধু কবিতা ছুটতে ছুটতে
হোঁচট খাচ্ছে।

রাস্তা ঠিক না থাকলে
এরকমই হয়
তাপ্পি মেরে দু'লাইন
এভাবে কি চলে ?

ছোটার আগে অনুশীলন চায়
ভাললাগার, ভালবাসার।
কবিতা তখন পাশাপাশি হাঁটবে।






এপ্রিল সংখ্যা ≈তিনটি কবিতায়-বিভাবসু

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

বিভাবসু


অনশ্বরতা

সমুদ্র কী ডুকরে ডুকরে কাঁদতে শিখেছে? 
পাহাড়ের যন্ত্রণা কী আরো সমুন্নত? 
সূর্যের দহন শেষ হবে কবে? 
চাঁদের তেজস্ক্রিয় আলো কি আর স্নিগ্ধতায় বুঁদ হতে পারে? 

সৃষ্টি ও অনাসৃষ্টি 
দহন ও জীবন 
আলো ও অন্ধকার 
উত্থান ও পতন 
টান ও বিটান 
জোয়ার আর ভাঁটা 
প্রেম আর ঘৃণা 

এক একটা  প্রক্রিয়ায় পরষ্পর জুতে থাকে 

মায়া কোরো না 
দুঃখ কোরো না
জেনে রেখো তুমি কোথাও যাচ্ছো না
কেন না তোমার অধিগত প্রতিটি বস্তুকণাই মহাজাগতিক 

গাধাবোটের যাত্রীসকল

যেন একটা গাধাবোটে জগৎ ধাবমান 
সবাই জানে ছুটে কোনো লাভ নেই 
তবু ছুটে চলার গতিজাড্যে নেশা বহুত 
মাদকতা আর মত্ততা ঘিরে ধরেছে পৃথিবী 
বকলমে সবাই চৌকস 
শুধু যোগফলগুলি হাওয়াবালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকে 
প্রেমিকেরা স্বয়ংবরসভায় খুবই দ্বিধান্বিত
কি পেলে কাকে পেলে আরো লাভ? 
...হে কুবের তোমারই জয়...

বৈশাখ সমাগত 
ভোটপরব চলছে
প্রতিটি নির্বাচনে মানবতা আরো কিছু প্রহসনময় হয়ে ওঠে 
কুশীলবেরা জানে জগৎ মায়াময়
গাধা আর গাদাবন্দুক নিয়ে 
তাই তাদের মহাযাত্রাপালায় অংশ নিতে লজ্জা করে না

গাধাবোট এখন মাঝসমুদ্রে 
সভ্যতার নাবালকত্ব আর কাটলো না দেখছি

আত্মবিলাপ

তোর মৃত্যু কোনো চমকপ্রদ ঘটনা নয়
তোর জন্মেও কোনো গরিমা ছিলো না  
এই দুয়ের মাঝখানে 
তোর হাঁটাটুকুই অলৌকিক 
তোর ব্যথাটুকুই স্বর্ণচাপা 

একটা অনিচ্ছুক সাহচর্য ছাড়া কিছুই দিতে পারিনি তোকে 
তা নিয়ে অনুশোচনা আছে, আত্মবিলাপ আছে  
অনুকম্পাও আছে বেশ 
তোকে ভালোবাসতে পারিনি বলে 
নিজেকে কতবার ফায়ারিং স্কোয়াডে ঝাঁঝরা করে দিয়েছি 

তবু সূর্যাস্তের কাছে এসে বসে থাকিস যখন 
তোকে আমার খুব করে আদর করতে ইচ্ছে করে 
তোকে আমার 'স্বপ্ন' বলে ডাকতে ইচ্ছে করে






এপ্রিল সংখ্যা ≈ অনুবাদ কবিতায়- স্বপন নাগ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা || 

গোরখ পান্ডে-র কবিতা অনুবাদে~স্বপন নাগ

গ্রামের নাম 'পন্ডিত কে মুন্ডেরওয়ালা'। উত্তর প্রদেশের দেওরিয়া জেলার এই গ্রামে ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন কবি গোরখ পান্ডে। বামপন্থী ভাবধারায় রচিত তাঁর কবিতা এবং গীত অত্যন্ত আলোড়ন তুলেছিল একসময়। বিশেষ করে ভোজপুরি ভাষায় লেখা তাঁর গীত আজও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিপুলভাবে সমাদৃত। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ 'ভোজপুরী কে নও গীত', 'জাগতে রহো সোনেবালো', 'স্বর্গ সে বিদাই', 'সময় কা পাহিয়া', 'লোহা গরম হো গয়া হ্যায়' প্রমুখ। 'দাঙ্গা' শিরোনামে অনূদিত ছোট্ট এই দুটি কবিতায় খুঁজে পাওয়া যায় কবির সমাজ সচেতনতার উষ্ণ আবেদনকে। ১৯৮৯ সালের ২৯ শে জানুয়ারি মাত্র চুয়াল্লিশ বছর বয়সে কবি গোরখ পান্ডে প্রয়াত হন।


दंगा      गोरख पाण्डेय


१.

छुरा भौंककर चिल्लाये...
हर हर शंकर

छुरा भौंककर चिल्लाये
अल्लाहो अकबर

शोर खत्म होने पर
जो कुछ बच रहा
वह था छुरा
और
बहता लोहू...

२.

इस बार दंगा बहुत बड़ा था
खुब हुई थी
ख़ुन की बारिश
अगले साल अच्छी होगी
फ़सल
मतदान की


দাঙ্গা  গোরখ পান্ডে


১.

ছুরি চালিয়ে চিৎকার করল ওরা
'হর হর মহাদেব'

ছুরি চালিয়ে ওরা চিৎকার করল
'আল্লা হো আকবর'

চিৎকার শেষ হয়ে গেলে
পড়ে থাকল শুধু
ছুরি
আর
রক্তের স্রোত ...

২.

এবারের দাঙ্গা ছিল অনেক বড়
অঝোরে ঝরেছিল
রক্তের বৃষ্টি

সামনের বছর
ফসল ভালো হবে --
মতদানের !



এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়- দেবাশিস ঘোষ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

     ভোরের স্বপ্ন আমাকে অপরাধী করে দেয়       
দেবাশিস ঘোষ



ভোরের একটা স্বপ্ন আমাকে অপরাধী করে দেয়
আমি গঙ্গার খুব কাছে দেয়ালহীন একটা ঘরে
ভোট নিতে গিয়ে উঁচুনিচু মেঝেতে রাত্তিরে শুতে যাই

গঙ্গার হাওয়া আসে মাঠ পার হয়ে
আমি ঘুম নিই, শিরায় শিরায় গাঢ় ঘুম
ঘুমের গভীরে গিয়ে আবিষ্কার করি আমিও পিশাচ

একটা বাচ্চা ইঁদুর কী একটা দামী জিনিস কেটে ফেলে
আমি তাকে খপ করে মুঠোয় ধরে ফেলি
শ্বাসরোধ করি, ছটফট ছটফট
তারপর ঐটুকু প্রাণীর বিস্ফারিত দুই চোখ
সিনেমার পর্দা জুড়ে ক্লোজ আপ শটে 
বিস্ফারিত দুটো চোখ ফেটে পড়তে চায়
ঘুম ভেঙে যায়
বিস্ফারিত মৃত দুটি চোখ আমাকে অপরাধী করে দেয়
জেগে থাকা নিরীহ আমিকে অচেনা মনে হয় ভীষণ




এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়- পিনাকীরঞ্জন সামন্ত

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

 স্বপ্ন     পিনাকীরঞ্জন সামন্ত



একটি কবিতা লেখার জন্য চাই একটি উড়োজাহাজ যা আমার মাথার ওপর দিয়ে বিকট শব্দে উড়ে যাবে 

একটি কবিতা লেখার জন্য চাই একটি কথাবলা ল্যাপটপ আর একটি কি-বোর্ড আর চাই একটি দারুচিনি মিশ্রিত লবঙ্গ লতিকা পান 

একটি কবিতা লেখার জন্য চাই আমার এক প্রিয়তমা নারী যার হাতে লবণ হলুদ মিশ্রিত শাঁখা ও পলা, সিঁথিতে সিঁদুর আর চুলে তার মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ 
যে আমাকে প্রতিনিয়ত জোগাবে 
আমার এক কাপ চা আর অনন্ত কথা বলা 

শেষমেষ --
একটি কবিতা লেখার জন্য চাই একটি বাইসাইকেল আর সেই সাইকেলে চেপে পৃথিবীর আহ্নিকগতি ও বার্ষিকগতি আমাকে দিনরাত এনে দেবে আমার বাঁচার অক্সিজেন, 
বাঁচার বীজমন্ত্র আর রঙিন স্বপ্নের উড়ান 
যা থেকে আমি পেয়ে যাব আমার সমস্ত শব্দ শব্দ খেলা যা আমার জীবনের সমস্ত না বলা কথার এক দীর্ঘ প্রবাহিত নদী ।





এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়- শম্পা মনিমা

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

বেলা - অবেলায়     শম্পা মনিমা



জানি না কেন এমন সময় এলাম ?
কেনইবা এলাম ?
যে পথ ঘুরে বালুচর ছুঁয়েছে ,
ঐ পথ দিয়ে গিয়ে দুয়ারে পৌঁছাবে
শুধু মনে রেখো, সেখানেই–
সেখানেই হাস‍্যময় ভীড়ে বিসন্ন বিকেল চেয়ে থাকে
কেন যাবে, যতই হোক অবেলা
তুমি ,বেলা হলেও  যেও না হয় সকল বন্ধন ছিঁড়ে ফেলে।





এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-বিকাশ চন্দ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

বাউল বাঙালির একতারা     বিকাশ চন্দ

    

হৃদয়ের কথাগুলো বদলে যায় কৌমার্য হীন
যন্ত্র যানের প্রপেলারের ডানায় খসে পড়ছিল ইচ্ছে ফসল
সকল আদর্শলিপি ধারাপাত ধ্বনিময় শব্দ পথের সুখ
শরীরের স্বপ্ন সুখ বোঝে কি তেমন পোড়া চন্দন কাঠ
কলা বিজ্ঞান দর্শন চিকিৎসা সকলই পোড়ায় সঙ্গম আগুন। 

ইস্তাহারের অক্ষরে বহুবার পুড়েছে পূজা ফুল নৈবেদ্য চুম্বন
কুশলী রঙের খেলা অনুচ্চারিত বেআব্রু আয়ুর খয়রাতি
কোন দায় নেই ইতিহাস ভাস্কর্য অক্ষর পরিধি মাপে রামধনু ছায়া
ধর্মের লাল পোড়ে লাশ ঘরে আদি শরীর ঢাকা কাপালিক ধূতি
নীল শ্বাসের দাহ পর্বে পুড়েছে প্রসূতি আর স্বজাত শুভ্র স্মৃতি। 

সোনা বুক কুমারী বাসনা ভেজে  প্রতিরাতে ছোঁয় সন্ন্যাসী শিশির 
জ্ঞান বৃত্ত ছিঁড়ে ফেলে আদি সত্য হীন বন্ধ্যা শাসন সমন
কেউ দেখেনি বাসা হীন ভাষা হীন জন্মের গোপন নিষ্ক্রমণ 
যা কিছু মৃত্যু দৌড় দেখে দেশ কাল ক্ষুধা মৃত্যু সোনার হরিণ 
তবুও যন্ত্র বাহকের সশব্দ চিৎকার ভাঙে বাউল বাঙালির একতারা। 




এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-মৃণালেন্দু দাশ

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

মৌসুম্বি ফলের দিকে        মৃণালেন্দু দাশ


অবরুদ্ধ ঘুম ও সন্যাস
চারদিকে কঠিন ধাতব দেওয়াল
পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত সমকামী স্রোত
সারিগান নিয়ে দু-এক প্রস্থ তরজা

বিষন্ন বেলুন , ফুলতেও  চাইছে না

বিধি-নিষেধের বেড়া ভেঙে যারা যায়
তারা ফিরে আসছে না আর

এ-এক সুদূর পর্যটন ! সস্মুখে ধোঁয়াশা ,স্পষ্ট নয় ছবি
মাঝখানে হিজিবিজি আঁকা দিনরাত
নিশুতিনামা স্তব্ধতা

মৌসুম্বি ফলের দিকে ধাবমান বায়ু
তল্পিতাল্পা নিয়ে কোথায় চলেছে নিরীহ সংসার

এমন আহাম্মক দিন এসেছে আজ
নির্বিচারে কেউ গুলি খায় কেউ নেয় বুকে
দুজনের বিস্তর ফারাক মৌতাত আর মৃত্যুতে






এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-কেদারনাথ দাস

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

পরিণামে     কেদারনাথ দাস


যে আঁধার চেয়েছি আমি সে আমার কারুনির্জনতা,

নিছক ঘনিষ্ঠতার ক্ষণ উল্লাস নয়

অনিচ্ছুক উষ্ণ যাপনে অসহায় পদাতিক তবু ...

খররোদে দগ্ধ হতে চাই, ঝলসানো করতল বিদায় জানায়

প্রিয়তার মুখোশের সারি...


স্বপ্নহীন শূন্য পরিণামে কে তুমি তীব্র সে রোদ শুষে নিয়ে

রেখে যাও স্নিগ্ধতার ছায়াময় মায়া...


ভিন্নতার মধুমাস চিরবসন্তে থাকো।






এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-সংযুক্তা পাল

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

সমাধিস্থ হবার আগে...       সংযুক্তা পাল


বাসস্টপে হাত নাড়তে থাকা
বাচ্চা ছেলেটা চশমা দিয়ে
খামখা নারীত্বের অর্থ
বোঝার চেষ্টা করে–

ভিড় তাকে ক্রমাগত
পরিনত করে তুলছিল,

হাই তুলতে থাকা পরিশ্রান্ত
জনতার মুখোমুখি সে আর
তার নিশ্চুপ কামড়;

চোখের পাতায় ভূ-স্বর্গ
আঁকতে আঁকতে জামার
হাতায় মুছে নেওয়া ঘাম
তাকে ফিরে যেতে বলে

নারীর গর্ভগৃহে আরো একবার
সমাধিস্থ হবার আগে...





এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-অসীম মালিক

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

ছাপ    অসীম মালিক



চোখ থেকে নামিয়ে রাখলাম,
প্রিয় চায়ের দোকান।
ঠোঁট থেকে নপুংসক সংলাপ।
আর নিতে পারছিলাম না,
সিগারেটের মত ফুরিয়ে যাওয়া
ছাই সময় এবং থোরের মত শিরদাঁড়া।

তাই সেলুন ফেরত যে রাস্তা,
চায়ের ভাঁড়ে খোঁজে রং।
তার কাছে মাথা নত করে
চেয়ে নিলাম খুর।
যাতে স্পষ্ট ঘোড়ার পায়ের ছাপ,
বা নাপিতের হাত।




এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

সাল দু হাজার একুশ    শ্রীপর্ণা  গঙ্গোপাধ্যায়



দু হাজার একুশ  সালের বিকেল,
আকাশে খেলা করছে শেষ রোদের আবির।
গাছের পাতার মৃদু গুঞ্জন,
পাখিদের  ঘরে ফেরার শব্দ,
ফুল ফোটার গতি ,অব্যাহত।

ঘরের ভেতরে মানুষের গায়ে জ্বর।
গলার কাছে দলা পাকানো ব্যথা,
অক্সিজেন লেভেল কমে যাচ্ছে।
ঘরের ভেতরে ও বাইরে  মানুষের নাকে
পৌঁছচ্ছে না গন্ধ ।
ফুলের গন্ধ,  সৌহার্দ্যের গন্ধ , মুক্তির গন্ধ
আনন্দের গন্ধ।
পারদ ব্যস্ত হয়ে দৈহিক উত্তাপ মাপছে।
গৃহস্থের বারান্দায়  শাড়ি আর জামার পাশে
ঝুলে আছে  অপরিহার্য মাস্ক ।

এই বছরের মুখ  ঢাকা আছে  ত্রিস্তরীয়
মুখোশে।দৃশ্যমান চোখ দুটি থেকে  ঠিকরে বেরিয়ে আসছে আতঙ্ক।






এপ্রিল সংখ্যা ≈কবিতায়-শৌভিক মিশ্র

|| মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা || এপ্রিল সংখ্যা ||

বিষন্নতা     শৌভিক মিশ্র



বিষন্নতা কোনো মৃতজীবী ফুল  
 জয়ের গন্ধ হার মানে যার কাছে। 

হৃদয়ের আদিম চড়ায়
ফুটে থাকে
মৃদু অথচ আশ্চর্য গন্ধে
অমলিন।