নবকুমার শীল
পেছনে গোধূলির গাঢ়তা
যে বাড়িটা দেখাবার চেষ্টা করছি
বয়স ২০০ হয়নি , কারণ যত্ন করা হয় !
সিড়ি গুলোর ধাপ এখনও গভীর ভাবে ক্ষয়ে যায়নি ।
নিশ্চিত , বুড়ো সিংহের দাঁত পড়ে যাবার মতো করে খসে খসে যাবেই
পৃথিবীতে এরকম বাড়ি আর কখনওই নির্মিত হবে না ।
কিছুই আর কখনও ফিরে পাবো না বলে একটু কাতর এমনকী বিভ্রান্ত ,
এদিকে আলগা হয়ে আসা মাথার চুল ,ভুরুর চুল উড়ে চলে যাচ্ছে ।
অতক্ষণ যে বাড়িটা দেখালাম একশোরও অনেক কম বয়স !
পাখিরাই ডাকে
পথের দু'ধারে বিশাল অশ্বত্থ আর তেঁতুল গাছ এ চোখ বহু দেখেছে , তবে
এমন চোখ দেখলাম এই প্রথম বুঝতে পারছি না কোন ভাষা ভাষির লোক !
চোখের সামনেই একঝাঁক নয়নতারা কী একটা সুর যেন গুণ গুণ করে ওঠে যেন অলবামে আঁটা ছবি ।
রাজা হরিসভায় কাউকে গ্রহন করলে পার্ষদদের কিছু বলার থাকে না ,
কে যেন তীব্রভাবে বলে ওঠে তোমাকে দরকার নেই ।
এর ফলে দৃষ্টি শক্তির একটা অদ্ভুত সমস্যা তৈরি হয় ।
এখানেও ঠিক তাই হল , মন খারাপ । মনখারাপের কারণে শরীরটা আরও খারাপ হয় ।
সেই দুর্দান্ত স্মতিগুলো হারিয়ে গেল আর কারা যেন বার বার ডাকে ... !
দুটি ভালো কবিতা। অভিনন্দন কবি
ReplyDelete