সাল দু হাজার একুশ শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়
দু হাজার একুশ সালের বিকেল,
আকাশে খেলা করছে শেষ রোদের আবির।
গাছের পাতার মৃদু গুঞ্জন,
পাখিদের ঘরে ফেরার শব্দ,
ফুল ফোটার গতি ,অব্যাহত।
ঘরের ভেতরে মানুষের গায়ে জ্বর।
গলার কাছে দলা পাকানো ব্যথা,
অক্সিজেন লেভেল কমে যাচ্ছে।
ঘরের ভেতরে ও বাইরে মানুষের নাকে
পৌঁছচ্ছে না গন্ধ ।
ফুলের গন্ধ, সৌহার্দ্যের গন্ধ , মুক্তির গন্ধ
আনন্দের গন্ধ।
পারদ ব্যস্ত হয়ে দৈহিক উত্তাপ মাপছে।
গৃহস্থের বারান্দায় শাড়ি আর জামার পাশে
ঝুলে আছে অপরিহার্য মাস্ক ।
এই বছরের মুখ ঢাকা আছে ত্রিস্তরীয়
মুখোশে।দৃশ্যমান চোখ দুটি থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে আতঙ্ক।
সময়কে ছুঁয়ে আছে অবিরত। ভালো লাগল। অভিনন্দন কবি
ReplyDeleteকবিতাটি যেন সময়ের দর্পণ। পড়তে গিয়ে নানান বিচিত্র অনুভূতি হল। কখনো শিউরে উঠি কখনও ত্রিস্তরীয় মুখোশে ঢাকা পড়ে যায় আতঙ্কিত মুখ। তবু হৃদয় খুঁজে যায় মুক্তির গন্ধ, আনন্দগন্ধ!
ReplyDeleteকবির এই অভিজ্ঞানকে কুর্নিশ জানাই।