ভোটের ভটভটি এখন ফুল ইস্পিডে ছুটতে ছুটতে সপ্তমে সা,তারপর অষ্টমে ধা করে দোসরাতে এখানসেখান পঞ্চমদার সুরে গব্বর ডায়লগ দেবে,ইয়া বড়কা বড়কা বকস থেকে।
'লে অব গোলি খা,শুয়োর কি বাচ্চা!'
ভটের আগে,ইখেন-উখেন কতকত ফিতাকাটার হিড়িক, সে আর কী বলবো কাকি! একসাল তো পুরা গেল লকডাউনে! রেশুনে দুটাকা কেজি চাল ফিরি করে দিলেক গরমেন্ট, আর ইদিকে আলু একাই সব পয়সাগুলো খিচে লিলেক কাকা!
বাপের জন্মে আলুর এত গরম দেখিনি বাপ!শালা,পচাশ ছুঁইছুঁই! মাঝখান থিকে আলু চাষি গুলা গেল ফুটে।আলুর বীজ কিনলেক একশ করে আর এখন মাঠে নাকি চার-পাঁচটাকা দরে বিকে মরছে। চাষির দুখ ঘুচবেক নাই বাপ! ছুটকা চাষি হলে কাঁদনা গাইতে গাইতেই জীবনটা হড়কে যাবেক বাপ!
আমার ক্যালা উসব ঝামেলা নাই, পাঁচ টাকা ফেললেই মাইরি একপেট ডিম্ভাত!বউটাকেও বলেছি অমন ডেলি ডেলি কাঁদনা আর না গাইতে।আমাদের চারজনের ত কুড়ি টাকা মাত্তর!উ ইদিক-উদিক থেকে ঠিক চলে আসবেক। তারজন্য কুনু ভাবনা নাই। শালা! যত ভাবনা মাইরি রাঁধতে গেলেই! কুথায় কাঠ রে,তেল রে,মশলা রে,আনাজ রে ---অত সব কীসের দরকার! তার জন্য আবার রেস্কা টানো, নাহলে কাজকাম খুঁজো! বউটাকে বলেছি, অতসব কিছু করার দরকার নেই, তুই যেমন তিনটা বাবুবাড়ি কাজ করচিস কর, আমি শালা আর খাটতে লারছি।
দিব্যি আছি মাইরি পাঁচ টাকার ডিম্ভাতে। আমাদের ক্যালা এই অক্সিজেন! রাতের বেলা একটা দশটাকার পাউচ আর জাং তলে মদনার মা! জীবনে আর কি চাই কাকা!
ধন্যবাদ
ReplyDeleteবাহ্ রে বাহ্! বহত খুব!! অভিনন্দন কবি
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteবাস্তব প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন দাদা🙏
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDelete