গাছের জঙ্গল জি কে নাথ
সাদামাটা কাগজের এক প্রশস্ত ঘুমের দূরত্বে না উচ্চারিত জিভ ভেসে এসেছে
শিশুমাটির কঙ্কালে
সমুদ্রকান্নার ডুবো পাহাড় থেকে উঠে এসেছে আবাহনের মুখ
তোমার সতেজ মুখে
মুখের লাজুকসবুজ
ঢেউয়ে
একটানা হাতে অর্ধেকের অর্ধেক
দুঃসহ শেষ ইচ্ছেটুকু এ জন্মে ঝেড়ে রেখেছি ফুলের ঈশ্বরের দিকে অস্বরের ঈর্ষায়
রুগ্ন জন্মের বৃষ্টিবর্ণ নীরবতায়
মেঘলা জলের সকাল ভেসে যায় শান্ত
অপরিচিত পরিত্রাণহীনতায়
খনিজের শুকনো অন্ধকারে হারিয়ে গেছে শরীর যাঁরা টেনেছিলো শব্দের স্বাদে দাঁড়
আরও দূরে নিদারুণ তাসভাঙা স্মৃতির ক্ষয়ে যাওয়া দাঁতে ফেটে গেছে
বুকের খাঁ খাঁ তরঙ্গস্রোতের বুদ্বুদ
পিছিয়ে আসা যাবতীয় শীতল ধ্বংস কাঁধের সারাটা দিগন্ত
জাড্যহীন দূরত্বে
অন্ধকারের
ক্ষুধা জ্বলা রাতে মাটিজোনাকির ওড়াউড়ি আসলে ক্ষিপ্র প্রতিবেশী
ভয় ও উৎকন্ঠার লাশকে বুকে ধারণ করে ছিলাম এতকাল বুঝতে পারতেই হাত বাড়িয়ে দিল অভিশপ্ত যন্ত্রনা
তোমার দৃষ্টি হোক সফল
ঘরময় শেফালীর গন্ধে ভরে উঠল নিম্নলাজ শাদায় শাদায়
ছিঁড়ে পড়া শস্যবিদ্যুৎ ক্ষেত বরাবর কাত হওয়া আমার ডান দিকের শরীরে নিঃশ্বাস পড়ে ক্রমে বুঝতে পারি
এ জোছনায় জলনাভির নৌকায়
ভেসে উঠবে মাছ
মরা মাছ
টাকায় ভরা অভাবী রুপোর কৌটো!
পুনর্বার এখন গভীর জলে নিঃশেষিত উদ্ধারহীন তারার দ্বীপে খুলে রাখি আর্তনাদের হাঁ মুখে ঈষৎ লোনা গ্রাম-শহর বিরোধী দলীয় খুঁটিপুজো
সমস্ত চলাচল ছেড়ে এরম রাতের নিঃশব্দে হারিয়ে যায় খেটে খাওয়া রোগা শব্দের শেষ নিশাচর লোকাল ট্রেনটা
যেন শিকড় ছিঁড়ে শিকড়ে
আমরাই অবহেলিত হয়ে আছি
অথচ
সারা বাড়ি এখন গাছের জঙ্গল ।
ভালো লাগলো
ReplyDeleteদারুণ কবিতা!
ReplyDeleteবেশ। গার্ডেন ফ্রেশ! অভিনন্দন কবি
ReplyDelete