সূত্র
গনগনে দুপুরে পাতারা ঢলে পড়লে জল দিও না। বরং তারও বেশ খানিকটা আগে দিও। জানি এসময়টা ওরা রান্না করে। ঘরে থাকা মানুষেরা ঘুমায় যদিও। কেউ কেউ জেগেও থাকে, কেউ আজন্ম ঘুমে। কাজের সাথে ঘুমের একটা সুক্ষ্ম যোগসূত্র আছে। সেই সুত্র ধরে সিঁড়িতে আলোরা আসা-যাওয়া করে। ভাঙাচোরাওয়ালা হেঁকে যায়, ক্ষণিক থেমে ক্লান্তি কাটাতে চাপকল থেকে কিছুটা জল খায় তারপর মলিন গামছাটা দিয়ে ওর উপার্জনের ঘাম মোছে। অভুক্ত পেটের ব্যাকরণ আজ অবধি লিখিত হয়নি। সাজানো শব্দ, শাদা পাতা নির্ভুল কাটাকুটি খেলে যায়। বেলা বয়ে আসে। মাসিক জটলায় তখন শেষ বসন্তের কোকিল। বুঝতে পারি পাখিরা ফুরিয়ে আসছে।
No comments:
Post a Comment