স্পর্শদোষ
শবাধার প্রস্তুত করেছ। নেমে যাই তবে ওই চোখে?
এত শান্ত এমন কোমল দৃষ্টি আমাকে পাখির স্পর্শ দেয়
স্পর্শ এক প্রেমাতুর, নাবালক জন্মের রোমহর্ষক স্মৃতি
যেখানে কেটেছে দিন গাছে গাছে, গ্রীষ্মবর্ষা শরৎ পেরিয়ে
কঠোর শীতের দেশে, চেয়েছি কুসুমস্পর্শ, ফলভার
কখনও কোটরে তার খুঁজেছি শালিকছানা, পাতার ভিতরে
বটফল ঠোঁটের পাখিটি অজান্তেই উড়ে গেছে দূরে
কুয়াশায় ডুবে থাকা তোমার দুচোখ আমি দেখিনি কখনও
দেখিনি প্রহরা কেন মৃত্যু্র সীমানা ঘিরে বেড়ে উঠেছিল
সব সতর্কতা পূর্বাভাষ হাওয়ায় উড়িয়ে অমঙ্গল বাজে
কেঁপে ঊঠেছিল চোখ, পাগলা ঘন্টি যৌবনের দিন
চলে গেল তোমার হৃদস্পন্দন দ্রুত করে দিগন্তের দিকে
তাই এই জন্মঘোর, মৃত্যুঘোর, মৃত্যুর পরের মায়াঘোর
দুই চোখে সাজিয়েছ অন্ধকূপ, ঝাঁপ দিই মৃত্যু বাজি রেখে
পাতাল প্রহরে বুঝে নিতে চাই আমাদের যাকিছু আপস
তোমার শীতল চোখে আমি রেখে আসি তবে যত স্পর্শদোষ।
বহুদিন বাদে আবার পেলাম আপনাকে , জামালদা ।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ
Deletekhub valo laglo lekhati...
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ
ReplyDeleteসৈয়দ কও শর জামালের কবিতা নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। বিষয়ের গভীরতা, নতুনত্ব, বিষয় অনুযায়ী যথাযথ শব্দ চয়ন, জামালকে কবি হিসেবে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। এই কবিতাও তার ব্যতক্রম নয়। আবার ওঁর কলমে এক মুগ্ধ করা কবিতা।
ReplyDeleteকৃতজ্ঞতা জানাই
Deleteআমার কৃতজ্ঞতা জানাই
ReplyDeleteঅসাধারণ...
ReplyDeleteনামকরণের ক্ষেত্রে কবিই শেষকথা। তবু এই কবিতার নাম 'চোখ' হলেও হয়তো খারাপ লাগত না।
ReplyDeleteভালো কবিতা পড়লাম।
ReplyDeleteদাদা খুব ভালো লাগল আপনার কবিতাটি।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো লেখাটি।
ReplyDelete