মেয়েটা ও ইউনিকর্ণের অন্ধকার
‘মেয়েটার চোখ ফেটে বরফ ঝরছে এখন, রুপোলী সাদা বরফের ফুলেরা উড়ে যাচ্ছে দুপাশ দিয়ে। তার মধ্যে তীব্র উড়ে চলেছে তার ইউনিকর্ণ। ইউনিকর্ণের পিঠে কাত হয়ে লেপটে আছে ওর সোনালি ঝাঁকড়া মাথা ভর্তি চুল। দুহাতে শক্ত করে ধরা তার গলার কেশর। এতো জোরে চেপে ধরা যে ওর লম্বা লম্বা নখগুলো বিঁধে যাচ্ছে নিজেরই হাতের তালুতে। ফুটে উঠছে বিন্দু বিন্দু রক্ত, যেভাবে ঘাম ফুটে ওঠে তীব্র শীৎকারের পর। বুক ছুঁয়ে ফিরে যাওয়া তরোয়াল থেকে ফুটে থাকে রক্তদাগ। নীচে সমুদ্র হাত বাড়িয়ে ওকে ছুঁতে চাইছে বারবার। কিন্তু পারছে না। মেয়েটার কোন পূর্বজন্ম নেই, পরজন্মও নেই। ধূসর আকাশে শুধু একটা ফেলে যাওয়া জেটপ্লেনের স্মৃতিদাগ যেন...’ এই অবধি পড়ে থামল সে। ভদকায় একটা চুমুক দিলো, একটা সিগারেট ধরালো। তারপর জানলা দিয়ে তাকিয়ে রইলো। বাইরে শব্দহীন আলো, ক্ষীণ আওয়াজ কখনো কখনো। পাখিদের, পাতাদের, হাওয়াদের, নৈঃশব্দেরও খানিকটা যেন। সে তখন শুনতে শুনতে উৎসুক অপেক্ষায়, কারণ আমরা তো যে কোন কিছুর মধ্যে আসলে একটা ফিরে আসা নিজস্ব অভিজ্ঞতাকেই খুঁজি। যখন মিলে যায়, তখন বলি খুব ভালো। আর না মিললে ? সে ভাবলো, তাহলে কি ব্যক্তিঅভিজ্ঞতার বাইরে মানুষ কিছুই বানাতে পারে না। তারপর নিজেই হেসে ফেললো কথাটা ভেবে। কেকুলে যখন স্বপ্ন দেখেছিল দুটো সাপ পরস্পরকে ল্যাজের দিক থেকে গিলে খাচ্ছে, কোন ব্যক্তি অভিজ্ঞতাটা তার ছিল ? বেঞ্জিন রিং তো তারপরই। কেকুলেই এটা লিখে গেছে। সে আকাশে তাকিয়ে একবার উড়ে যাওয়া দ্রুতগামী ইউনিকর্নটাকে দেখতে চাইলো। একবার দেখতে পেল হয়তো, কিন্তু আকাশে এতো মেঘ, তারা তাকে বারবার ঢেকে ফেলছে।
‘কি হলো, পড়ো ?’ সে প্রশ্ন করে।
‘কিছু কি হবার কথা ছিল ?’ অনেকটা থেমে সে উত্তর দেয়। ভদকার গ্লাসটা শেষ হয়ে আসছে। মোবাইলের স্ক্রিন তাকিয়ে আছে তার দিকে, সেও অপেক্ষায়। আরে, অপেক্ষাতেই তো।
‘শুরু হলে একটা শেষ তো চাই। একটা শেষের বাহানা অন্তত।’
‘যে কোন শেষের কি একটা বাহানা প্রয়োজন ? এই যে ইউ-এস-বাংলার প্লেনটা কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্টে পৌঁছে চাকা স্লিপ করে পঞ্চাশ জন যাত্রীকে নিয়ে...। কি বাহানা ছিল তার ? অথবা ধরো, সিক্সথ আগস্ট ১৯৪৫, সকাল আটটা ষোল। পল টিবেটস এনোলা গে প্লেনটা নিয়ে হিরোশিমার ওপরে সঙ্গে ‘লিটল বয়’। তুমি জানো পলের মায়ের নাম ছিল ‘এনোলা’। তখন নিশ্চয় ওখানে বাচ্চাগুলো স্কুল যাচ্ছে। অনেকে ব্রেকফাস্টের টেবিলে মুখে তুলছে সুদৃশ্য চায়ের কাপ। বউ, প্রেমিকা বা কোন বেশ্যাকেও নিশ্চয় আদর করছে কেউ কেউ। কেউ কেউ হিসেব করছে আর কত ইয়েন হলে এ মাসটা ঠিকঠাক চলবে। ঠিক পরের মুহূর্তে নব্বইহাজার থেকে একলাখ তিরিশ হাজার লোক স্রেফ নেই হয়ে গেল। কি বাহানা আছে তার ? চাইলে আরও অসংখ্য উদাহরণ আমি...। সিরিয়ায়, নাইজেরিয়ায়। সে দেখল সে উত্তেজিত হয়ে উঠছে। সে আস্তে করে তার আঙুলগুলো স্পর্শ করলো। নিকোটিনের হালকা দাগ, সরু, একটা আংটির পুরনো দাগ, তারই উপহার দেওয়া। হারিয়ে যাওয়া আংটিটার মতো সে ক্রমশ শান্ত হয়ে এলো। সে ভাবলো, ‘ওর মন সব কিছুর পেছনে একটা যুক্তি খোঁজে। অথচ নিজে...’ হেসে ফেললো আলতো করে। সে আবার পড়তে শুরু করলো, ‘মেয়েটার কোন বাহানা ছিল না। ছোট্ট মুঠোয় সে শুধু একটু সময় লুকিয়ে রেখেছিল। যে রকম আমরা সবাই রাখি। শক্ত পেরেকের মত কঠিন সময়, গেঁথে ছিল হাড়ের গভীরে। তাই সে হেঁটে গেলে সময় বেজে উঠত র্যাটেল স্নেকের মত, স্যাক্সোফোনের মত, তারাদের টুকরোরা যেমন কখনো কখনো বেজে ওঠে অন্ধকারের গভীরে। কালীপূজোর রাত্রি উজ্জ্বল করে আকাশে ছড়িয়ে পড়া তারাবাজি হয়ে সে কি সেইমুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে চাইছিল খুব ? কি জানি। তবে হাওয়া থামতে চাইছিল না। সমুদ্রঢেউ গিলতে চাইছিল, ইউনিকর্ন চাইছিল, কি চাইছিল ? ... না, এটা আমি সঠিক জানি না।’
‘আসলে ইউনিকর্নেরা কি কখনো কিছু চায় ? পবিত্রতা কখনো কিছু চেয়েছে মেয়েটার কাছে ? ইউনিকর্নের রক্ত তোমার গায়ে লাগলে তোমার কি হবে তুমি জানো ?’
‘কি করে জানবো ? পৃথিবীতে একমাত্র তুমিই তো হ্যারি পটার পড়েছ ?’
‘ওই দেখ। তুমি আবার আহত হচ্ছ। তুমি হারকিউলিসের মিথের রেফারেন্সও দিতে পারতে ?’
‘পৃথিবীর সমস্ত লেখাই আসলে কোন না কোন মিথের একটা ইন্টারপ্রিটেশন। এইটা তো তুমিও জানো তাই না।’
সে একটু আহত হল। ও কি মিথের বলল, না মিথ্যের বলল। সে ভাবলো, ও তো নিজেও লেখে, এটা তো ওর জানা উচিত। সে হয়তো বিশ্বাস করে বানিয়ে খুব কিছু লেখা যায় না। একটা সত্যির নিউক্লিয়াস লাগে। একদা সন্দীপন এমত কহিয়া ছিল। কিন্তু ওর মেয়েটা তো একটা বানানো যাপনের ঘোরেই সারাটা জীবন। ও আবার আকাশে তাকিয়ে ভদকার গ্লাসে দীর্ঘ চুমুক দিল। মেঘের গায়ে ওই কালো বিন্দুটা হয়তো সেই ইউনিকর্নটা। মেয়েটাকে এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
2
‘তুমি কি জানো, থ্রেস্টাল বলে একধরনের ইউনিকর্ন আছে, যাদের এমনিতে দেখা যায় না। যে বা যারা কখনোমৃত্যুকে স্পর্শ করেছে, একমাত্র তারাই দেখতে পায় তাদের ।’ সে আবার শুরু করলো ।
‘কে মৃত্যুকে স্পর্শ করে নি বলো তো ? যে মুহূর্তে মারের কন্যারা গৌতমের জন্য বিছিয়ে দিল নিজস্ব যোনি, এবংসেই মুহূর্ত থেকে কি তারা নিজেরা মৃত্যুকে স্পর্শ করলো না ? সেই মুহূর্ত থেকেই কি তাদেরও অর্হৎ জন্মের শুরু নয়। অযৌন মৃত্যু থেকে শুরু করে যৌন জন্মের দিকে হেঁটে যাওয়ার উল্টোরথও কি সমান সত্যি নয় ? যে মুহূর্তে বাইপাসের ধারে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকা আমাদের মেয়েটার দিকে চোখ টানটান করে তাকালো রাত দশটার অটোচালক, বাইক নিয়ে দ্রুত পেরিয়ে যেতে যেতে থেমে যাওয়া হেলমেট, আস্তে করে পাশে থেমে যাওয়া লম্বা সেডান। এমনকি রাস্তার পাশে গলাগলি পুলিশ ও মাতাল। সেইসব প্রতিটা মুহূর্তেই কি ঠাণ্ডা মৃত্যু একবার করে আঙুল ছোঁয়াল না আমাদের মেয়েটার মেরুদাঁড়ায়। সেই মুহূর্তেই কি ও ভাবছিল না সেই সাদা ইউনিকর্ণটার কথা ?’ কল সেন্টারের মনিটর এখন মেয়েটার সামনে শুধুই বিপ বিপ বিপ, কাচের জানলা দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করে ঘরে ঢুকে পড়ছে চাঁদ, মেয়েটার মনে পড়ছে লেডিস হোস্টেলের চিলেকোঠার ঘরে তার একচিলতে বিছানায় এখন ভেসে আসছে কামিনীফুলের রঙচটা গন্ধ। মেয়েটা ভাবলো এরা ভীষণ খাটায়। অথচ সেরকম স্যালারি দেয় না। সে নোকরি বা মনস্টার ডট কমে আবার একবার সিভিটা আপলোড করে দেখবে। সে ব্যাগ থেকে জলের বোতলটা বার করতে গিয়ে একটা পেন ড্রাইভ তার হাতে ঠেকল। একটা সবুজ সাপ সঙ্গে সঙ্গে নেমে গেল তার শিরঁদাড়া বেয়ে। এই অফিসেপেন ড্রাইভ আনা স্ট্রিক্টলি বারণ। ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি চলে যাবে। সে এসব জানে, প্রথম দিনথেকেই। তবু কীভাবে যেন ব্যাগের ফাঁকে ফোকরে আজ রয়ে গেছে এই স্যানডিস্কের ষোল জিবি টুকরো। সে একটু
ঘেমে উঠলো। তার মনে হচ্ছে আজ পিরিয়ডস শুরু হবে। এমনিতে অসুবিধা নেই। সেক্টর ফাইভের এই অফিসে প্রতি তলায় ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন আছে। তবু সে ইউনিকর্নের কাছে প্রার্থনা করলো, যেন তার পিরিয়ডটা আজ না শুরু হয়। মুখে ঘাড়ে একটু জল দিয়ে আসার জন্যে সে সিস্টেম থেকে লগ আউট করে গেল। সে তো জানে তাদের অ্যামস্টার্ডামের বাগানে এখন প্রচুর রঙিন টিঊলিপ ফুটেছে। সবুজ পাতাদের ধুয়ে
দিয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা সামুদ্রিক হাওয়া। তাদের ছোট্ট ইয়টটায় তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে সাদা পোশাকের
ক্যাপ্টেন তাঁর সোনালী স্ট্রাইপে অধৈর্য হাত বোলাচ্ছেন বারবার। বাতাসে ভাসছে কড়া অ্যামফোরা তামাকের
গন্ধ। তার বাপীর ওভারকোটের কলারে গুঁড়ো গুঁড়ো তুষার লেগে। তাদের বাদামী ল্যাব্রাডরটা এখন বাগানের মধ্যে তুমুল ছুটছে আর চিৎকার করছে। সামনের চার্চটা আলো দিয়ে খুব সাজানো । মেয়েটা এই মুহূর্তে ইউনিকর্নটার কথা ভাবছিল। বাথরুমের ফ্ল্যাশে একটা অদ্ভুত জলের শব্দ হচ্ছে, অনেকটা যেন ডাইকের মধ্যে দিয়ে জোয়ার আসছে অ্যামস্টার্ডামে। সে ভাবছিল একটা ডানা মেলা সমুদ্রের শব্দ। একটা অন্ধকারের শব্দ। ব্যাগ থেকে বার করে সে একটা চকোলেটে কামড় বসাল। একটা ডার্ক গন্ধ তাকে আচ্ছন্ন করে রাখছিল। গন্ধটা কিসের কথা মনে পড়াচ্ছে ? সে হঠাৎ নিজের ওপর খুব রেগে উঠল। তার মনে পড়ে গেল আইভরি কোস্ট অথবা ঘানার কোকো বাগানের সেই সব বাচ্চা বাচ্চা মেয়েগুলোর কথা। যারা মালি, বুরকিনা ফাসো, এইসব সাব সাহারান আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সত্তর বা আশী ডলারেই বিক্রি হয়ে যায় কোকো ফার্মে ছোটবেলায়। বাড়ির লোকেরাই বেচে দেয়। যারা ম্যাচেট নিয়ে গভীর ঝোপ থেকে কোকো কেটে আনে। যাদের সকাল ছটা থেকে রাত নটা অবধি কাজ করতে হয়। খাবার মানে ভুট্টা সেদ্ধ আর কলা। রাত হলে জানোয়ারের মত দরজা জানলা হীন কাঠের আস্তাবলে বন্ধ করে রাখে। সুপারভাইসার বা অন্য ক্ষমতাশালীরা যাকে যখন ইচ্ছে তুলে নিয়ে যায়। মার খেয়ে বা ধর্ষণে মরে গেলে শরীরটা ছুঁড়ে দেয় পাহারাদার কুকুরগুলোর মুখে। মেয়েটার হঠাৎ মনে হলো নেসলের এই চকোলেটটায় ওই বাচ্চা মেয়েগুলোর রক্ত মিশে আছে, অত্যাচারিত যোনি থেকে গড়িয়ে আসা রক্ত। সে হড়হড় করে বমি করে ফেলল। সমুদ্রটা ক্রমশ তার মাথার মধ্যে ঢুকে পড়ছে। মেয়েটা সমুদ্রটার থেকে পালিয়ে যেতে চাইছিল। এখন ইউনিকর্নই একমাত্র পারে তাকে এখান থেকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে। ইউনিকর্নও খুব কষ্ট পাচ্ছিল। তার বুক ফেটে যাচ্ছে উষ্ণ তেষ্টায়। কি অসম্ভব উষ্ণতা এই ঘরে। কয়েকদিন ধরে হোম যজ্ঞ চলছে। চলছে তান্ত্রিক অভিচার। মেয়েটার শরীরে কে যেন একের পর এক ছুঁচ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। লিভারে, কিডনিতে, ব্লাডারে, বুকের ডান পাশে। তার মা আর সনাতন ঠাকুর দুজনে সারারাত ধরে কি সব যেন মন্ত্র পড়েই চলেছে। মা উলঙ্গ হয়ে বসে আছে সনাতনের কোলে। আগুন জ্বলছে সামনে। সনাতনের হাত তার মায়ের বুকটাকে টিপেই চলেছে। সাড়ে তিন বছরের শরীরটা থেকে উথলে পড়ছে যন্ত্রণা, শরীরটা ছটফট করছে, বাধা দিতে চেষ্টা করছে অপুষ্ট ছোট ছোট হাত দিয়ে। বাষট্টি বছরের হোমগার্ড সনাতন ঠাকুর মাকে খিস্তি মেরে উঠল, ‘ভালো করে চেপে ধর না চুদির মেয়ে, এতো ছটফট করছে কেন।’ তারপর তার মুখে কি যেন ঢেলে দিল তীব্র, তেতো, ঝাঁঝালো। সে আর বাধা দিতে পারলো না। আড়ষ্টতার মধ্যে একের পর এক ছুঁচ ঢুকে যাচ্ছিল পাতাদের, পাখিদের, গাছেদের, মেঘেদের, সমুদ্রদের বুকে। মেয়েটা জানে তাকে এবার পালাতে হবে, পালাতেই হবে এখান থেকে। সেক্টর ফাইভ, বাঁকুড়ার হসপিটাল, ঘানার কোকোবাগান, অথবা সাউথ দিল্লির রাতের নির্জন রাস্তাটা থেকে। ‘ইউনিকর্ন, তুমি আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে
3
সমুদ্রের ওপারে অথবা, অথবা আমাদের অ্যামস্টার্ডামের সেই ছোট্ট ফার্ম হাউসটায় ? যার উল্টোদিকে এখন
গম্ভীর চার্চ বেল বাজছে। চলো না ইউনিকর্ন, প্লিইইইজ চলো না।’
ওখানে সাদা কফিনটা নিয়ে সিমেট্রির দিকে এখন হেঁটে যাচ্ছেন কারা যেন। লাস্ট সার্ভিসের প্রেয়ার শব্দ ভেসে
আসছে চার্চ উইন্ডো থেকে। ভেসে আসছে ভায়োলিনের শব্দ, নাকি হার্প, আমি জানি না ? শুধু মাঝে মাঝে একটা চেনা গং বেজে উঠছে আর মেয়েটার মনিটরের স্ক্রিন ফুঁড়ে অপার্থিব বেগুনী অরোরা বোরিয়ালিসের হার্পুন স্ক্রিনসেভারে ফুটিয়ে তুলছে ‘মন খারাপ, মন খারাপ, মন খারাপ...’।
সেই মুহূর্তেই দূরে কোথাও একটা রক্তাক্ত ইরেজার দিয়ে কে যেন ইউনিকর্ণটাকে মুছে ফেলতে ফেলতে লিখে
রাখছে একমুঠো হা হা অন্ধকার...।
No comments:
Post a Comment