সম্পাদকীয় নয় কিন্তু
ছোট মুখে বড় কথা হয়তবা, হয়ত নয়! মানুষে মানুষে ভাবনার বৈপরীত্যে স্বতন্ত্রতার জন্ম হয়।ভিন্ন স্বরের মাত্রা মেপে নেয় নির্ণায়কসভা। ’আমি’ আর ’আমিত্বের’ সীমানায় স্বৈরিতাকে মেনেই সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার ধারা চলতে থাকে। বাধ্যতা থাকে না সেই নির্দিষ্ট মতকে মেনে নেওয়া বা বাতিল করার।
প্রসঙ্গটি ওয়েব পত্রিকার বহমানতা ও তার ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে আমার কিছু কথা।
সময়ের সঙ্গে চলতে চলতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যন্ত্রমুখী হয়ে পড়েছে আমাদের জীবন।।প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংযোগ বা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে আন্তর্জাল।স্কুল কর্মক্ষেত্র দৈনিক যাপনে কেউ-ই এড়াতে পারি না এর সুফল। সাহিত্যসভা পত্র পত্রিকাও পিছিয়ে নেই। ই বুক বা ওয়েব পত্রিকার মাধ্যমে অজস্র লেখা, অজানা তথ্য এত সহজে হাতের মুঠোয় পাওয়া যা কল্পনাতীত ছিল।
অনেকে বলবেন ওয়েব পত্রিকার এই বাড়বাড়ন্তে হারিয়ে যাচ্ছে লেখার মান।যে কেউ সম্পাদক হয়ে ওঠার অদম্য ইচ্ছেই যে কোনো লেখাকেই কবিতা বলে দেগে দেওয়ার প্রবণতা মাথা চাড়া দিচ্ছে।
কথাটা অস্বীকারের উপায় নেই।এক্ষেত্রে একজন সম্পাদক তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না।ওয়েব ম্যাগাজিন যে কোনো মুদ্রিত পত্রিকার চেয়েও গুণে মানে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার দাবি রাখে আর পুরোপুরি সে দায় সম্পাদকের ওপরেই বর্তায়।নতুন মুখ,নতুন কন্টেন্ট,প্রত্যন্ত থেকে খুঁজে আনা মণিমাণিক্য.... সমস্তটাই হতে পারে একজন দক্ষ, নিরপেক্ষ, সহানুভূতিশীল, সাহিত্যমনস্ক সম্পাদকের বিবেচনায়। একটি কবিতা পত্রিকার উদ্দেশ্য তো কেবল কবিতা বা গল্প/প্রবন্ধ প্রকাশ নয়!
নতুন আর পুরনোর মেলবন্ধনে সুচিন্তিত নির্বাচনে আগামীকে উৎসাহিত করার উপাদানে সহিষ্ণুতা দেখানো দরকার।
সব সম্পাদকের বানানের দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।আমার তো মনেহয় ওয়েব পত্রিকা আরও বেশি করে এব্যাপারে সচেতনতার দাবি রাখে।পত্রিকা ত্রৈমাসিক হোক,অনিয়মিত হোক কিন্তু নির্ভুল আর স্বচ্ছ হোক।
কোনো নতুন কলমে আগামীর আলোকিত ভ্রূণ লুকিয়ে আছে কী সে দায়িত্ব ও কিন্তু একজন নিবিষ্ট সম্পাদক এড়িয়ে যেতে পারেন না।
অন্য অনেক পত্রিকার ভিড়ে মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা, সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন নতুন কিছু করে দেখানোর স্পর্ধায় কলার তোলার অধিকার দিয়েছে অনুজদের , সঙ্গে অগ্রজদের হাতে পথ দেখানোর আলোকবর্তিকা।
আমার মনে হয় সম্পাদকের আরও দক্ষ, আরও সুচিন্তিত নির্বাচন, সেই পত্রিকাটি আন্তর্জাল বা মুদ্রিত যে মাধ্যমেই হোক, পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে পাঠকের মনে তার নিজস্ব ছাপ রেখে বহমান হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বাকিটা....পাঠকের হাতে ছেড়ে রাখলাম।
No comments:
Post a Comment