জন কীটস্। সময়কাল ১৭৯৫ থেকে ১৮২১ ।ইংল্যান্ডের রোমান্টিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি । মাত্র ২৬ বছর বয়সে ক্ষয় রোগের তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর অনবদ্য কবিতাগুলির রচনা কাল মাত্র কুড়ি মাস।
আজ তাঁর কবিতা বাংলা অনুবাদ করলাম আমি সোমা মুখার্জি।
মূল কবিতা -হোয়েন আই হ্যাভ ফিয়ারস
আশঙ্কা
যখন আমি হই যে আশঙ্কিত হঠাৎ আমার কলম যদি থামে;
উজাড় করা যত ভাব ও ভাষা , না পারি প্রকাশিতে;
স্তূপীকৃত পুস্তক আর মোর লেখনী ধারা 'যদি হঠাৎ কোন গহনে নামে,
বসেই থাকি সংগ্রাহকের মত না পারি বিতরিতে;
যখন দেখি তারার আলোয় উদ্দীপিত ওই আকাশের মুখ,
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখে মধুর প্রেমের কল্পনাতে ভাসি;
মনে ভাবি হয়তো আমার থাকবে না আর এ রাত দেখার সুখ,
ছায়ার মত জাদু স্রোতে মিলিয়ে যাবে এ সৌন্দর্য রাশি;
জানি আমি এই ক্ষণিকের সঙ্গসুধা কোথায় যাবে ভেসে,
আর কখনো তোমার পানে চাইবো না তো ফিরে;
সেই অবকাশ হবে না আর জীবন অবশেষে,
ভাঙাহাটের মিলন মেলায় হারাবো বন্ধুরে;
এই পৃথিবীর প্রান্তসীমায় রিক্ত আমি একা,
যশ খ্যাতি আর প্রেমের মায়া শূন্যে বিলীন রেখা।
ওয়ালটার ডে লা মেয়র । সময়কাল ১৮৭৩ থেকে ১৯৩৬ । ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লেখক এবং কবি ।প্রথম কবিতার বই"Songs Of Childhood" । যেটিতে আমরা পাই চিন্তায় ও প্রকাশের শিশুসুলভ সারল্য ।তাঁর বিখ্যাত কবিতা লিসনারস্ আজ ও লোকের মুখে মুখে ফেরে।
আজ তাঁর কবিতা বাংলা অনুবাদ করলাম আমি সোমা মুখার্জি।
মূল কবিতা-ইকো
প্রতিধ্বনি
ছায়ায় ঢাকা বনের পথে আপন মনে বলি "ডাকলো কে?"
সবুজ ঢাকা অরণ্যে তা হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে দিগন্তরে;
হেথায় হোথায় পাখির ঠোঁটে সে ডাক ভাসতে থাকে,
"ডাকলো কে ? ডাকলো কে?"
পাতায় ভরা উচ্চ বৃক্ষ শাখা,
আকাশ পেরোয় সূর্যকে দেয় ছুঁয়ে;
কান্না আমার আঁধার হাওয়ায় ঢাকা,
ক্ষীণ হতে হয় ক্ষীণতর গাছের শাখে পড়ছে নুয়ে নুয়ে;
সবুজ মাঝে চোখ দুটি কার যেন ছায়ায় ঢাকা,
স্তব্ধগতি স্থির;
আমার বলা কথাখানি কোন রহস্য মাখা,
প্রতিধ্বনি ধীর;
"কেই বা শোনে কেই বা মনে রাখে?"শুধাই আবার কান্না ভেজা স্বর
বনের হাওয়া বয় যে ধীরে ধীরে,
"কেই বা শোনে,কেই বা মনে রাখে? " প্রতিধ্বনি বেড়ায় ঘুরে নীরব বনের পর;
বাতাস মরে ঘুরে।
সাবলীল অনুবাদ দিদি তোমার কলমে
ReplyDelete