মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
১৩৪-তম প্রয়াস
১৩৪-তম প্রয়াস
অগ্নিস্রোত অমৃতা বিশ্বাস সরকার
ধরণী বড়ই সহনশীলা ,শত কলঙ্ক বুকে নিয়ে নির্বিকারে গেঁথে চলে
ইতিহাস ।
সামাজিক অবক্ষয়ে মানবতার প্রহসন ।
মিশকালো পিচ পথে বয়ে চলে
ফুরিয়ে যাওয়া মোমবাতির নিঃশ্বাস ।
দুনিয়াদারির কালোবাজারিতে বারবার ব্যর্থ হয়
মুষ্টিমেয় প্রতিবাদী কণ্ঠের প্রতিধ্বনি ।
যে যার স্বার্থে বাঁচে ।
বৃথা যায় শান্তির ললিতবাণী ॥
সোজা মেরুদণ্ডী কেউ কেউ দাঁড়ায় রুখে ,
হতাশ যারা ছিলাম ভাবি দেবদূত ।
আসলে তো তার বুকে বয়ে চলে অগ্নিস্রোত ॥
একটা অভিশাপ তোমাদের জন্য
শান্তি বিলাসী পৃথিবীর তোমরা বরাবরের শত্রু ।
বিষয়টা যাই হোক্ না কেন ....?
বিরোধিতা করার জন্যই উস্কানিদাতা হয়ে
তোমরা বিরোধী হয়ে ওঠো ।
কথায় আছে না -
কারোর সর্বনাশ তো কারোর পৌষ মাস
গভীর ষড়যন্ত্রে হও লিপ্ত ।
আবেগকে অস্ত্র করে দিব্যি লুটে চলো
নীতিবাদের পোশাক পরে থাকো ,
কিন্তু তোমরাই তো আসল দুর্বৃত্ত ।
আগুন আকাশ মাথায় নিয়ে জ্বলন্ত অঙ্গার পায়ে নিয়ে হেঁটে চলে সাধারণ জনস্রোত ।
হাঁটতে হাঁটতে কখন যে ভেসে যায় .....
দেখে সামনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর দূত ।
সবকিছু করে দাও নিমেষে ধ্বংস ।
প্রিয়জনের অপেক্ষা করতে করতে
ঘুমিয়ে পড়ে নিদ্রালু চোখ ।
ঘরে ফেরে না কাঙ্ক্ষিত মানুষ ।
অগত্যা কেঁদে কেঁদে হাহাকার করে ওঠে শূন্য বুক ।
তোমরা তো সব জ্ঞানপাপী ,
জেনেশুনেই করে চলো পাপ ।
মূক পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাসে তোমাদের জীবনে
নেমে আসুক অভিশাপ ।
স্নেহ সিঞ্চন
টলটল পা আর খিলি খিলি হাসি ।
কোমল ত্বকের আদুরে ইচ্ছেয়
মন স্বর্গ সুখে বানভাসি ।
সদ্য ফুটে ওঠা গোটা কতক মুক্তোর ঝিলিকে
চুঁইয়ে পড়ে আনন্দ লহরী ।
বালাই ষাট ,সব খারাপ মুছে যাক্ ,
মা তো আছে অতন্দ্র প্রহরী ।
সোহাগে যত্নে স্নান বারি ঢেলে চলে মা ।
কোল জুড়ে আলো, বুক জোড়া ধন ।
যে-ই দেখে তার দৃষ্টি সার্থক ।
মায়ের অনন্য স্নেহ সিঞ্চন ।
No comments:
Post a Comment