মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ
সোমনাথ বেনিয়া
সোমনাথ বেনিয়া
দরজা
এক মেয়েকে নিয়ে দুলাল আর মালতীর বাস করে এয়ারপোর্ট সংলগ্ন বস্তি এলাকায়। দুলাল একটি কারখানায় নাইট শিফ্টে কাজ করে। ফলত কাজের দিনগুলোতে মেয়েকে নিয়ে মালতী রাতে একাই থাকে। ছোটো ঘর। ঘরের দরজা খুব পোক্ত না হলেও খুব সহজে ভেঙে ফেলার মতোও নয়। ইদানীং মালতী খেয়াল করেছে রাত্রে দরজাটা মাঝেমধ্যে নড়ে উঠছে। দুলালকে এই কথা বলার পর দুলাল বলে
- ও কিছু না। এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আসলে আমরা এয়ারপোর্টের কাছে থাকি তো তাই। প্লেন খুব কাছ দিয়ে ওঠা-নামা করে। তারই শব্দে দরজা মাঝেমধ্যে নড়ে ওঠে। দিনের বেলায়ও হয়। দিনের বেলায় অনেক হইচই শব্দে সেটা শোনা যায় না। এখানে অনেকের ঘরের দরজায় হয়। ও কিছু না। শুনে মালতী কিছুটা স্বস্তি পায়।
যাই হোক এভাবেই চলছিল। কিন্তু অসময় আসতে কত সময় লাগে! কারখানায় এক দুর্ঘটনার জেরে দুলাল মারাত্মক জখম হয়ে অবশেষে মারা যায়। এখন মালতী তাদের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মনে-প্রাণে আরও নিঃস্ব হয়ে গেল। রাত্রে দরজা নড়ে! এখন তার ভয় লাগে কারণ যখন প্লেন ওঠা-নামা করে না, তখনও দরজা নড়ে ...
- ও কিছু না। এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আসলে আমরা এয়ারপোর্টের কাছে থাকি তো তাই। প্লেন খুব কাছ দিয়ে ওঠা-নামা করে। তারই শব্দে দরজা মাঝেমধ্যে নড়ে ওঠে। দিনের বেলায়ও হয়। দিনের বেলায় অনেক হইচই শব্দে সেটা শোনা যায় না। এখানে অনেকের ঘরের দরজায় হয়। ও কিছু না। শুনে মালতী কিছুটা স্বস্তি পায়।
যাই হোক এভাবেই চলছিল। কিন্তু অসময় আসতে কত সময় লাগে! কারখানায় এক দুর্ঘটনার জেরে দুলাল মারাত্মক জখম হয়ে অবশেষে মারা যায়। এখন মালতী তাদের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মনে-প্রাণে আরও নিঃস্ব হয়ে গেল। রাত্রে দরজা নড়ে! এখন তার ভয় লাগে কারণ যখন প্লেন ওঠা-নামা করে না, তখনও দরজা নড়ে ...
No comments:
Post a Comment