Sunday, 17 May 2020

বিশ্বজিৎ মেটে

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ 
১৩৮- তম প্রয়াস


আবার এসো     বিশ্বজিৎ মেটে

প্রিয়তম তুমি কি আর আসবে না ফিরে?
আমার একাকী শুকনো হৃদয়ের তীরে।
সেই যে তুমি ছেড়ে গেছো কতোদিন আগে
তাই আমার দুই নয়ন শুধু রাত জাগে ।
বসে বসে তাই লিখছি তোমায় চিঠি
সেই কবে হয়েছে আমাদের মিলন তিথি!
তুমি আমার কাছে থেকেও কতো দূরে,
তবুও আছো তুমি আমার হৃদয় জুড়ে।
একটি বারের মতো তুমি আবার এসো,
চোখে চোখ রেখে আমায় ভালোবাসো।

মানবধর্ম
ধর্মের যুদ্ধ যতোই করো;
রক্তের রঙ সর্বদা লাল,
দেশটা একটু ছুঁয়ে দেখো
কি হয়েছে হাল!
রক্ত সবার খুব প্রয়োজন
রক্তে করছো কেন বান?
তোমার একবিন্দু রক্তে;
বাঁচবে মানুষের প্রান।
হিন্দু-মুসলিম যায় হোক;
সবই ঈশ্বরের স্থাপন,
মানুষ মানুষকে ভালোবেসে;
করো নিয়মিত জ্ঞাপন।
কিসের এতো অহংকার তোমার?
কেনইবা হচ্ছে জাত ধর্ম?
সঠিক মানুষ হবেই তুমি;
যদি মানো মানবধর্ম।

বেশ্যা

চার দেওয়ালের মাঝে দেহ;
লোভী হয়ে লুটে
ছোট্টো গলির ভেতরে শুধুই
দিবারাত্রি ছুটে।।
কিছু টাকার বিনিময়ে
পাই নারীর অঙ্গের স্বাদ,
এক বিছানায় থাকার সময়
আসে নারীর আর্তনাদ।
একটু লোভী হয়ে গেলেই
যায় নারী মাংস খেতে,
হিংস্র পশু হয়ে তখনই
খায় যে শুধুই চেটে।
পেট চালানোর জন্যই তারা
নেমেছে এই কাজে,
অঙ্গ নিয়ে খেলার পরেই
রটিয়ে থাকি ওরা বাজে।
নারী মাংসের ছিঁড়ে খাওয়া
হয়েছে সমাজের নেশা,
নারীর অঙ্গের লোভী হয়ে
নাম দিয়েছি বেশ্যা।

একটু সাবধান হও

দূর থেকে হাহাকারের ধ্বনি
আসছে আমাদের কানে,
একটু এবার সাবধান হও;
না হলে পড়তে হবে টানে।
সোনার ফসলেও জল প্রয়োজন
বুঝতে পারে হয়তো সকলে,
জল দূষণ বেড়েই চলেছে;
সমাজের কারসাজির নকলে।
সমুদ্রের ঢেউয়ের উত্তাল আছে;
বাঁচার জন্যই ছুটে,
জল সন্ধানে একলা হেঁটেও;
প্রানীয় জল যেমন জোটে।
জল অপচয় কম করো এবার;
দেশের মানুষের বাঁচায় প্রাণ,
জল যুদ্ধে মাতোয়ারা হয়ে;
করো না কেউ মান।
জনস্বার্থের চরণে মাথানত আমার;
জল সবই কাজে প্রয়োজন,
তাই গভীর ভাবে ধ্যান দাও
জল চাই আজীবন।




No comments:

Post a Comment