Monday 4 May 2020

আলিউজ্জামান

মল্ল সাহিত্য ই-পত্রিকা , ২-য় বর্ষ










আলিউজ্জামান


বাবা

মস্ত সজনে গাছের পাতা পড়ে আছে আঙিনায়।
রোদপোড়া হাতের অবলম্বনে । সাইকেল প্যাডেল করে চলে যাও ।রামধনুর মত
দুর শ্রমিকের ঘামের গন্ধে।
একটা প্রদীপের ঘরে ।আমার কপালে কাজলের টিপ।এত আবির তোমার পকেটে।
যেনো খেলনা কিনতে দিন ফুরোলো 
পোড়া মাটির পুতুলে । 
সেই পুতুল খেলা বন্ধ হলে ,
অনেক অনেক মোমবাতি ক্ষয়ে যাওয়ার পর,
বুঝতে পারি!
ভাঁটু ফুলের গন্ধে গোপনীয় ঋণ শোধ করে।
বাজারের থলের মধ্যে মায়ের যৌবনকাল সঙ্গে নিয়ে।
তুমি ঠায় দাড়িয়ে আছো পৌষমেলার ভিতরে।


ফুল

যারা একসময় উদ্ভিদের যৌনাঙ্গে হাত রেখে ফুল হতে চেয়েছিলো। প্যারাসিটামলের অভিঘাতে জ্বর কমে আসলে।শীতল ঘাম সঙ্গে নিয়ে।কোমরে বেল্ট এঁটে চলে যায় বেশ্যালয়ে। ধারাপাতের নামতার মত ছান্দিক কৌশলে জলের ভিতর জল হয়ে মিশে থাকে।যেনো মনে হয় ,গভীর ক্ষিদেয় নখ বড়ো হলে । অন্নপ্রাশনের কথা মনে করতে নেই।অথচ ,তারায় একদিন কয়েক বিঘা জমিতে গাজর ফলিয়ে,
বাজারে আমদানি করেছিল বিটা ক্যারোটিন।


অর্থহীন 
     
ঘূর্ণনের স্বার্থপরতায় সূর্যের আলোর বিপরীতে
লিখে রাখি কাগজ --কলম । কোনো যে মানে নেই এইটাই মানে। আরও কিছুদিন নিদাঘ ছড়াও। শ্যাওলা বনে কচুরিপানা ভাসিয়ে নিয়ে যাক জল।যতদূর গেলে চিরবৈষ্ণবার্তি শেষ হয়। সবাইকে ডেকে বলা যায়।দ্যাখো।অভিব্যক্তিহীন মৃত জারজ পাতা।কবিতার মত অনাথের ।
রোজকার ট্রেন

তারপর অনেক অনেক বেলা কাটার পর।সমগ্র মাঠের তিক্ততা গা থেকে ঝেড়ে ফেলে।সূর্যাস্তের শেষ আভায় কপালের ঘাম উবে যাওয়ার আগে নিস্তব্ধ প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামে।প্ল্যাটফর্মের শেষে প্রায় নিঃশেষ হওয়া পুকুরে মাছরাঙা চঞ্চু চুবিয়ে বের করে আনে রুপোলি মাছের বুক।বোহেমিয়ান জীবনের স্বাদ ভুলে ।দুর কলমিলতার ডগায় একটা প্রজাপতি এসব কবর লাশের অদৃশ্য খেলা দ্যাখার পরে গিলোটিনের শেষ সুতোয় আটকে যায় তার ডানা।সেই ডানার কোনো প্রচ্ছদ নেই। রঙিন মলাট উড়ে গেছে নিশ্চুপে,বহুকাল আগে। তারপর শুকনো ঝরঝরে পাতার উপর দিয়ে ট্রেন চলে যায় দূরের স্টেশনের দিকে।রোজকার পান্তাভাতের  অ্যালকোহলিক স্বাদের নম্রতায়। 

আলোকনদী 

আমাকে যেতে দাও!
এসব মমার্থ রেখে দিয়ে যাবো।
তিলককাটা দুপুরে হাত পোড়ালে ভাঙা বৈঠায় উঠা মারাত্মক অপরাধ।
এসব রেখে দিবো আমি,
ফিল্টার পেপারের পরিশ্রুত দ্রাব্যে.
একটা ছায়া যা কিছুতেই সরেনা,
ফু দিলেই আগুন,ফু দিলেই অন্ধকার..
আমাকে যেতে দাও!
আর কত দূরে 
                  আলোকনদী?

1 comment:

  1. Aliujjamam sotti e otulonio. Vasar ki chondo uff buk vora valobasa chara ontoronge kichui debar nei....khub sundor hoyeche ❤️

    ReplyDelete